মারাঠা রাজনীতিতে রাজনৈতিক পরিবারগুলির মধ্যে পাওয়ার পরিবারಌ অন্যতম। এককালে এই পরিবারের সদস্য তথা মহারাষ্ট্র স্ট্রংম্যান হিসাবে পরিচিত শরদ পাওয়ারের হাত ধরে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস প🐠ার্টি বা এনসিপি। সহ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন পিএ সাংমা। পরবর্তীতে সেই পার্টির অন্যতম নাম হয়ে ওঠেন শরদের ভাইপো অজিত পাওয়ার ও মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে। শনিবার এক অনুষ্ঠানে মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে ও দলের অন্যতম হাইপ্রোফাইল নেতা প্রফুল্ল প্যাটেলকে এনসিপির কার্যকরি সভাপতি ঘোষণা করেন শরদ পাওয়ার। ভাইপো অজিতের সামনেই চলে এই নাম ঘোষণার পর্ব।
১৯৯৯ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে নয়া পার্টি গড়ার ডাক দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের রাজনীতির অন্যতম তাবড় নাম শরদ পাওয়ার। সেই সময় শরদ পাওয়ার ও পি এ সাংমা একত্রে তৈরি করেন এনসিপি। সেই পার্টির ২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান ছিল শনিবার। আর সেই অনুষ্ঠানে পার্টির তাবড় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন শরদ কন্যা সুপ্রিয়া সুলে, ছিলেন শরদের ভাইপো অজিত পাওয়ার, ছিলের প্রফুল্ল প্যাটেলের মতো তাবড় নেতারা। সেই অনুষ্ঠানে ভাইপো অজিতের সামনেই দলের কার্যকরি সভাপতির তকমা শরদ পাওয়ার তুলে দেন মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে ও দলীয় হেভিওয়েট নেতা প্🧜রফুল্ল প্যাটেলের হাতে। উল্লেখ্য, মারাঠা রাজনীতি কাঁপিয়ে কিছু বছর আগেই, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে এনসিপির একাংশরে সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়ার পথে হেঁটেছিলেন অজিত পাওয়ার। ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলেন শরদ। মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে অজিত শপথ নিয়েও শেষমেশ পরিবারের দিকে ঝুঁকে ছেড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির হাত। এদিকে, অজিতকেও পরবর্তীকে আপন করে নেয় শরদের এনসিপি শিবির। সেই ঘটনার পর কেটেছে বহু অধ্যায়। এরপর এনসিপির কার্যকরি সভাপতি হলেন সুপ্রিয়া ও প্♏রফুল্ল।
এদিকে, গত মাসেই এনসিপির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন শরদ পাওয়ার। তারপর থেকে পার্টির অন্দরে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। তাঁকে পদ না ছাড়তে অনুরোধ করেন সদস্যরা। তারপর দলীয় ক🔯র্মীদের কথা রেখে পদ ছাড়েননি শরদ পাওয়ার। এরপরই এল মারাঠা রাজনীতি কাঁপানে এনসিপির এই বড় সিদ্ধান্ত।