কোনও নারী প্যান্ট পরে আছেন। তার উপর দিয়েই কোনও পুরুষ তার যৌনাঙ্গ ঘষেছেন। তবে কি সেটি ধর্ষণ বলে বিবেচ্য হবে? মেঘালয় হাইকোর্ট জানিয়ে দিল এক্ষেত্রেও ধর্ষণের অভিযোগে ওই পুরুষকে অভিযুক্ত করা হবে। এবার মূল মামলার প্রসঙ্𝐆গে আসা যাক। ২০০৬ সালে ১০ বছরের এক কিশোরীর যৌনাঙ্গ পরীক্ষা করে দেখা যায় তার সতীচ্ছদটি ছিঁড়ে গিয়েছে। এরপর চিকিৎসক জানিয়ে দেন এটি ব্যায়াম করে হয়নি। বাইরে থেকে কিছু ঢোকানো হয়েছিল মেয়েটির যৌনাঙ্গে। এদিকে অভিযুক্ত চিরফুলসন স্নাইটাং ঘটনার কথা স্বীকার করে নেন। তাকে ২০১🧸৮ সালে নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
এদিকে ওই যুবক পরে অবশ্য তার বয়ান থেকে সরে এসে জানায় আমি এক বলেছিলাম আর এক বুঝেছিলেন কর্তৃপক্ষ। তার আইন𝔍জীবী আদালতে জানান, ওই যুবক শুধুমাত্র তার লিঙ্গটি মেয়েটির প্যান্টিতে ঘষেছিলেন। তিনি কোনওভাবেই লিঙ্গটি মেয়েটির যোনিতে প্রবেশ করাননি। এদিকে শুনানি চলাকালীন ওই কিশোরী জানায় যে ওই যুবক তার প্যান্টি খোলেনি। এমনকী তার এতে যন্ত্রণাও হয়নি বলেꦓ কিশোরী উল্লেখ করে।
এদিকে ৩৭৫ ধারায় বলা হচ্ছে কোনও মহিলার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে জোর করে সঙ্গম করা হলে তা ধর্ষণ বলে বিবেচ্য হবে। এদিকে অভিযুক্তের আইনজীবী জানান মেয়েটি প্যান্টি পরেছিল। সেক্ষেত্রে কোনও কিছু তার যোনিতে প্রবেশ করানো হয়নি। চিফ জাস্টিস সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি ওয়ানলুরা দিয়েনদোর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, এটা যদি মেনেও নেওয়া হয় যে কিশোরী সেই সময় আন্ডারপ্যান্ট পরেছিল ও অভিযুক♒্ত তার যৌনাঙ্গ সেই আন্ডারপ্যান্টের উপরেই ঘষেছে। সেক্ষেত্রে প্রবেশ করানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্য়া হওয়ার কথা নয়। আন্ডারপ্যান্ট পরা অবস্থাতেও যোনিতে কিছু প্রবেশ করানো তা ৩৭৫(বি) এর উদ্দেশ্যকেই চরিতার্থ করে। আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই।