চলতি বছরের ফেব্রুয়🔯ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ-সহ বিশ্বের তাবড় দেশ মস্কোর উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই কারণে রাশিয়ার তেল সরবরাহ তলানিতে চলে যায়। এমন൲ অবস্থায় কমে যায় রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের দাম। আর সেই পরিস্থিতিরই প্রত্যক্ষ সুযোগ নিয়েছিল ভারত। মার্কিন মুলুক-সহ বেশ কয়েকটি দেশের চাপ সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনে ভারত। সেই কারণেই রাশিয়া এখন ভারতে তেল সরবরাহকারী দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।
এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে সৌদি আরবের তুলনায় রাশিয়ার অপরিশোধিত তেไল অনেক সস্তা হয়েছে। মে মাসে, ব্যারেল প্রতি ১৯ ꦑডলারের মতো সস্তা হয়ে যায়।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া থেকে ভারতে তেল সরবরাহ বৃদ্ধ🐈ি পেয়েছে। সেই কারণে ভারতে অপরিশোধিত তেল বিඣক্রি করা দেশগুলির মধ্যে এটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এর আগে সৌদি আরবের এই স্থান ছিল। এদিকে রাশিয়া ২০২১ সালে ছিল নবম স্থানে।
বর্তমানে ভারতে তেল সরবরাহকারী দে𒁏শগুলোর ♊মধ্যে ইরাক এক নম্বরে রয়েছে।
ইউক্রেন সংকটের পর ভারত ও চিন রাশিয♐়ার কাছ থেকে ব্যাপক হারে তেল কিনেছে। ভারত তারꦉ তেলের চাহিদার ৮৫%-ই আমদানি করে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়ার সস্তার তেলের কারণে ভারতের আমদানির খরচ কমেছে। শুধু তাই নয়, 🍸করোনার পর থেকে এটি মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার আশঙ্কা মোকাবিলাতেও সাহায্য করেছে।
ভারত সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছে
সরকারি তথ꧅্য অনুযায়ী, ভারত জুন প্রান্তিকে ৪৭.৫ বিলিয়ন ডলারের তেল আমদানি করেছে। 🍰যদিও গত বছরের একই ত্রৈমাসিকে ভারত ২৫.১ বিলিয়ন ডলারের তেল কিনেছিল। করোনার পর অর্থনীতি ফের চাঙ্গা হয়েছে। পেট্রোল-ডিজেলের চাহিদা বেড়েছে। সেই কারণে আমদানিও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেলের বাজার পর্যবেক্ষণকারী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ🍰কদিকে ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে সৌদি আরব ও ইরাকও সেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। সব মিলিয়ে বিশ্ব বাজারে এখন তেলের দামের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।