পুরোনো ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থানের আসল নাম খুঁজে বের করার জন্য কমিশন ঘটনের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী তথা বিজেপি নেতা অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। ভারতে যেসব জায়গার নাম 'হামলাকারীদের' নামে রাখা হয়েছে, ম❀ূলত সেই সব জায়গার 'আসল নাম' খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েই এই আবেদন দায়ের করা হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এবং 'মর্যাদার অধিকার, ধর্মের অধিকার এবং সংস্কৃতির অধিকার' সুরক্ষিত করতেই সর্বোচ্চ আদালতের এই পদক্ষেপ করা উচিত বলে বক্তব্য আবেদনকারী আইনজীবীর।
অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের হয়ে মামলাটি লড়ছেন আইনজীবী অশ্বিনী কুমার দুবে। আদাতের উদ্দেশে তাঁর নির্দিষ্ট আবেদন, সুপ্রিম কোর্ট যেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এমন এখ কমিটি গছনের নির্দেশ দেয়, যাতে পুরোনো ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থানের আসল নাম খুঁজে বের করা যায়। ভারতীয় সংবিধানের ২১. ২৫ এবং ২৯ নং ধারার অধীনে দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে এবং 'মর্♛যাদার অধিকার, ধর্মের অধিকার এবং সংস্কৃতির অধিকার' সুরক্ষিত করতেই এই পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে মামলাকারীর তরফে। পাশাপাশি আবেদনকারীর আরও দাবি, সুপ্রিম কোর্ট যেন ভারতীয় আর্কেওলজিকাল সার্ভে বিভাগকেও নির্দেশ দেয়, যাতে তারা প্রা𒀰চীন ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় স্থানগুলির প্রাথমিক নাম সংক্রান্ত গবেষণা করে এবং সেই নামগুলি প্রকাশ করে। সংবিধানের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে 'জানার অধিকার' নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে আবেদনকারীর তরফে।
পিটিশনে আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট যেন কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ দেয় যাতে করে তারা বিদেশি হানাদারদের নামে নামকরণ করা প্রাচীন ঐতিহাসিক সাংস্ক𓂃ৃতিক ধর্মীয় স্থানগুলির আসল নাম উল্লেখ করে তাদের ওয়েবসাইট এবং রেকর্ড আপডেট করে। মামলাকারীর আবেদনে বলে হয়েছে, 'এই ক্ষেত্রে নাগরিকদের অবেক বড় ক্ষতি হচ্ছে। কারণ ভগবান কৃষ্ণ ও বলরামের আশীর্বাদে পাণ্ডবরা খাণ্ডবপ্রস্থকে ইন্দ্রপ্রস্থতে (দিল্লি) রূপান্তরিত করেছিলেন। কিন্তু ভগবানের নামে একটি রাস্তা, পৌরসভা ওয়ার্ড, গ্রাম বা বিধানসভা কেন্দ্রও নেই দিল্লিতে। কৃষ্ণ, বলরাম, যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল, সেহদেব, কুন্তী, দ্রৌপদী এবং অভিমন্যু, কারও নামে কিছুই নেই। অন্যদিকে বর্বর বিদেশি হানাদারদের নামে রাস্তাঘাট, পৌরসভার ওয়ার্ড, গ্রাম ও বিধানসভা নির্বাচনী এলাকা রয়েছে। এটা শুধু দেশের সার্বভৌমত্বের পরিপন্থীই নয়, সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত করা মর্যাদা, ধর্🍃মের অধিকার ও সংস্কৃতির অধিকারও লঙ্ঘন করে।'
আবেদনকারী বলেন, নৃশংস বিদেশি হানাদার এবং তাদের সেবক ও পরিবারের সদস্যরা নিজেদের নামে বহু প্রাচীন ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় স্থানের নামকরণ করেছিলেন। হানাদাররা শুধু সাধারণ স্থানগুলোরই নাম পরিবর্তন করেনি বরং প্রাচীন ঐতি🐬হাসিক সাংস্কৃতিক ধর্মীয় স্থানগুলোর নামও পরিবর্তন করেছেন। এবং স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর সেই নামগুলি বজায় রাখা দেশের সার্বভৌমত্ব, মর্যাদার অধিকারের পরিপন্থী। আবেদনকারীর অভিযোগ, সরকার হানাদারদের 'বর্বর কাজ' সংশোধনের জন্য কোনও পদক্ষেপ করেনি এবং এতে নাগরিকদের মনে আঘাত অব্যাহত রয়েছে। তাই এই জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী।