তিন দিনের মার্কিন সফরে রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার সকালে তিনি আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে কোয়াড লিডার্স বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘে আলোচনায় অংশ নেবেন এবং বেশ কয়েকটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেবেন। বিদেশ 💧মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোয়াড লিডার্স বৈঠকে অংশ নিতে এবং রাষ্ট্রসংঘে ভবিষ্যতের শীর্ষ সম্মেলনেꦛ ভাষণ দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বে🌱জিংয়ের আগ্রাসন আটকাতেই পার𒈔স্পরিক সহযোগিতা? কী হল আলোচনায়
উল্লেখ্য, কোয়াডের সদস্য দেশের সংখ্যা রয়েছে চারটি। সেগুলি হল ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া। বৈঠকে গত এক বছরে দেশগুলির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এছাড়া, ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলির উন্নয়ন, লক্ষ্য ও আকাঙ্ক্ষা পূরণে সহায়তা করার জন্য আগামী বছরের জন্য এজেন্ডা ঠিক করা হবে। শীর্ষ সম্মেলনের পরে মোদী অন্যান্য রাষ্ট্র নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তাঁরা হলেন আমেরিকার রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ওএবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কি▨শিদা।
আগামীকাল ২২ সেপ্টেম্বর মোদী লং আইল্যান্ডে ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে দেখা করতে নিউইয়র্ক যাবেন। আরও জানা গিয়েছে, এআই, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, সেমিকন্ডাক্টর এবং বায়োটেকনোলজির অত্যাধꩵুনিক ক্ষেত্রগুলিতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য মার্কিন ভিত্তিক কোম্পানিগুলির সিইওদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন। যুক্তরাষ্ট্র সফরের শেষ দিনে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘সামিট অব দ্য ফিউচার’-এ বক্তৃতা দেবেন।
কোয়াড বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে?
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ꦿধ, পশ্চিম এশিয়ায় উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পরিস্থিতির মতো চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে কোয়াড বৈঠকে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও, ক্যান্সার প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। চার রাষ্ট্র প্রধান বিনিয়োগ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন খাতে নতুন উদ্যোগ ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করবেন। উল্লেখ্য, উইলমিংটনে কোয়াডের বৈঠক আয়োজন করেছেন বাইডেন। ওই বৈঠক ছাড়াও আমেরিকায় তিন দিনে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মোদীর।