একশো বা এক হাজার নয়, প্রায় চার হাজারেরও বেশি চাইল্ড পর্ন বিক্রির অভিযোগ উঠল এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ﷺজানা গিয়েছে, অনলাইনে শিশুদের পর্নোগ্রাফির ভ🌃িডিয়ো বিক্রি করত ওই কিশোর। এর জন্য সে কমিশন পেত। আর বাকি টাকা নিত ভিডিয়োগুলির সরবরাহকারী এক যুবক। তদন্তে গোয়েন্দারা শিশু পর্ন ভিডিয়ো বিক্রির এই চক্রের সন্ধান পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কারা জড়িত তা জানতে কিশোরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেফতার বাংলাদে♏শি পর্ন তারকা!কী ঘটিয়েছেন রিয়া ওরফে বান্না শেখ
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোর প্রতিটি ভিডিয়ো বিক্রির জন্য ৩০ শতাংশ করে কমিশন পেত। রাজ নামে একজন যুবক তাকে এই সমস্ত ভিডিয়োগুলি টেলিগ্রামের মাধ্যমে সরবরাহ করত । গোরখপু༒রের সাইবার পুলিশ বিভাগ💝 একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পরে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পরে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে পুলিশ। অভিযুক্তের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কিশোর জানিয়েছে সে কীভাবে ভিডিয়ো পেত এবং বিক্রি করত। পুলিশ জানতে পেরেছে, এগুলি বিক্রির জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করত অভিযুক্ত।
সিনিয়র পুলিশ সুপার ♉গৌরব গ্রোভার জানিয়েছেন। অভিযুক্তরা গ্রাহকদের প্রতি ভিডিয়ো পিছু ৩০০০ টাকা পর্যন্ত দাম নিত। এমনকী কিছু ভিডিয়োর দাম ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত উঠত। সেগুলি বিক্রির টাকা পাওয়ার পরে কিশোর ভিডিয়ো সরবরাহকারী রাজ-এর কাছে বেশিরভাগ টাকা পাঠাত। আর ৩০ শতাংশ কমিশন নিজের কাছে রাখত। গ্রোভার জানান, এই ঘটনায় কিশোরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনের নির্দিষ্ট ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি বলেন, সাইবার পুলিশ এই চক্রের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট চাইল্ড পর্নোগ্রাফি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ রায় 💃দিয়েছিল। মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ স্পষ্ট করেছিল, শিশুদের সঙ্গে যৌন অপরাধ সম্পর্কিত ভিডিয়ো শুধু ডাউনলোড করা, দেখা বা নিজের ইলেকট্রনিক ডিভাইসে রাখাও অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আদালত বলেছিল, পকসো আইনের অধীনে এগুলি অপরাধ। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সংসদকে পরামর্শ দিয়েছিল পসকো আইন সংশোধন করার জন্য। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, একটি আইন আনতে হবে এমন সংশোধন আনতে হবে যেখানে শিশু পর্নোগ্রাফিকে শিশুদের যৌন নির্যাতনের উপাদান হিসাবে উল্লেখ করা যায়।