পুরস্কার আর খ্যাতিলাভের লোভ! শুধুমাত্র এটুকু পাওয়ার জন্যই নিজেদের পেশার চরম অপব্যবহারের অভিযোগ উঠল ভারতীয় রেলের তিন কর্মীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্য🐽েই তাঁদের পাকড়াও করা হয়েছে।
সদ্য অভিযোগ উঠেছিল, রেল দুর্ঘটনা ঘটানোর উদ্দেশ্যে রে🔜লওয়ে ট্র্যাক বিকৃত করা হয়েছে। ঘটনাটি গুজরাতের সুরাত জেলার কিম নামক একটি এলাকার কাছে ঘটানো হয় বলে দাবি করা হয়।
দেখা যায়, একটি নির্দিষ্ট অংশের মধ্যে রেলওয়ে ট্র্যা🥀ক বা রেললাইনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে ফেলা হয়েছে। সেই অবস্থায় ওই ট্র্যাকের উপর দিয়ে যদি কোনও ট্রেন যায়, তাহলে দুর্ঘটনা অবধারিত।
প্রাথমিকভাবে দাবি করা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট তিন রেলকর্মী এই ঘটনা আগেভাগেই দেখে ফেলেন। তাঁরাই ওই বেহাল রেললাইনের ছবি ও ভিডিয়ো তোলেন এবং কর্তৃপক্ষকে সাবধান করেন। যাতে কোন🥃ও দুর্ঘটনা ঘটܫার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরোটাই আসলে ভুয়ো! শুধুমাত্র মোটা অঙ্কের আর্থিক পুরস্কার এবং নায়কের 'মর্যাদা' লাভ করতেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই তඣিন রেলকর্মী। তাঁরা নিজেরাই প্রথমে লাইনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে ফেলেন। তারপর সেই অবস্থায় রেললাইনের ছবি ও ভিডিয়ো তোলেন। যা পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যম ও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।
সোমবার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইতিমধ্যেই অভিযুক⛎্ত তিন রেলকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।
ধৃতরা হলেন, সুভাষ পোদার (৩৯), মণীশ মিস্ত্রী এবং শুভম জয়সওয়াল (২৬)। এঁদের মধ্যে প্রথম দু'জন রেলের ট্র্যাকম্যান প༺দে চাকরি করেন এবং তৃতীয় জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সুভাষ পোদার গত ন'বছর ধরে রেলে চাকরি করছে♎ন। তিনি একজন বিএসসি গ্র্যাজুয়েট এবং বিহারের ভাগলপুরের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, মণীশ মিস্ত্রীর বাড়ি বিহারের পটনার অঙ্কুরি গ্রামে। আর, শুভম জয়সওয়াল উত্তরপ্রღদেশের চন্দৌলির সাবাইয়া মহলওয়াল গ্রামের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে এঁরা তিনজনই বর্তমানে কিমে থাকেন।
গত শনিবার এই তিনজনের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। যেমন - ভারতীয়🔯 ন্যায় সংহিতার ৩ (৫), ৬১ (২) (এ), ১২৫। এর পাশাপাশি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইন অনুসারে এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার জন্যও সংশ্লিষ্ট ধারা প্রয়োগ করা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন, অভিযুক্তরা প্রথমে পুলি🐼শকে জানান, ঘটনার দিন ভোর সোওয়া পাঁচটা নাগাদ তাঁরা꧙ কিম থেকে কোসাম্বা পর্যন্ত রেলওয়ে ট্র্যাকের নজরদারি করছিলেন।
সেই সময়েই তাঁরা দেখেন, রেললাইনের ওই অংশে মোট ৭১টি এলাস্টিক রেল🦂 ক্লিপ কি এবং দু'টি ফিশপ্লেট খোলা রয়েছে। কিন্তু, ২৫ মিনিটের মধ্যেই তাঁরা সেগুলি পুনরায় স্বস্থানে লাগিয়ে দেন বলে অভিযুক্তরা দাবি করেন।
এখানেই পুলিশের স𓂃⛎ন্দেহ হয়। কারণ, মাত্র ২৫ মিনিটে এত কাজ করা তিনজনের পক্ষে সম্ভব নয়।
এরপর অভিযꦺুক্তদের মোবাইল ঘেঁটে দেখা যায়, তাঁরা বেশ কয়েক ছবি মুছে দিয়েছেন। সেই ছবিগুলি পুনরুদ্ধার করলে দেখা যায়, সেগ🍷ুলি আসলে রেলওয়ে ট্র্যাকের খুলে নেওয়া যন্ত্রাংশ। যেগুলি রাত ২টো থেকে ভোর ৫টার মধ্যে তোলা হয়েছিল।
পুলিশ অভিযুক্তদের কাছে জানতে চায়, এই ছবিগুলি ওই সময়ে তাঁদের মোবাইলে এল কীভাবে? কেনই বা এই ছবিগুলি তাঁরা মুছে দি▨য়েছিলেন? এর কোনও সদুত্তর অভিযুক্তরা দিতে পারেননি।
এরপরই পুরো ঘটনা পুলিশের কাছে স্পষ্ট হয়। ইতিমধ্﷽যেই স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের হাতে এই মামলার তদ🐲ন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পেশ করা হবে।