'চূড়ান্ত অজ্ঞতার' জন্য এক সাংবাদিককে বেলাগাম আক্রমণ শানাল কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক। এ🔯কগুচ্ছ পরিসংখ্যান তুলে ধরে কড়া ভাষায় শক্তি মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, 'ন্যূনতম বুদ্ধি থাকা যে কেউ এটা বুঝতে পারবেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই সাংবাদিকের সেই বিষয়টি নেই।' যদিও সরকারের সেই বেলাগাম আক্রমণে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে নেটপাড়া।
সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবামাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে বিদেশ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে কয়লা আনতে বলে হবে যে নির্দেশিকা জারি করেছিল কেন্দ্র, তা তিন মাসে🌠র মাথায় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। যে নির্দেশিকা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো একাধিক রাজ্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়। নিজের লেখা সেই প্রতিবেদন টুইট করেন ওই সাংবাদিক।
সেই টুইটের প্রেক্ষিতেই ওই সাংবাদিককে বেলাগাম আক্রমণ শানিয়েছে কেন্দ্র।বৃহস্পতিবার শক্তি মন্ত্রকের তরফে টুইটারে বলা হয়েছඣে, ‘ওই টুইটের মাধ্যমে ওই (সাংবাদিকের) চূড়ান্ত অজ্ঞতা ফুটে উঠেছে। যে ক্ষেত্রে তিনি কাজ করেন বলে দাবি করেছেন।’ সেইসঙ্গে শক্তি মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, মিশ্রণের জন্য বরাবরই কয়লার আমদানি করা হয়ে আসছে। ২০১৩-১৪ সালে ৩৮.৫ মিলিয়ন টন আমদানি করা হয়েছিল। ২০১৯-২০ সালে যা ছিল ২৩.৮ মিলিয়ন টন। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ১২.২ মিলিয়ন টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।
শক্তি মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরের অগস্ট/সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুতের চাহিদা ১৫ শতাংশ থেকে ২০⛎ শতাংশ। চলতি বছরের এপ্রিল/মে মাসে দৈনিক চাহিদা এবং জোগানের মধ্যে ১.২ লাখ টন ব্যবধান ছিল। সেই হারেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার ভাঁড়ার কমছিল। সেইসময় যদি কয়লা আমদানি শুরু ন🦋া করা হত, তাহলে ২৩ জুলাই ভারতে সাত মিলিয়ন টনে নামত। ফলে দেশের প্রচুর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভাঁড়ারে কয়লার পরিমাণ শূন্যে ঠেকত। বিস্তীর্ণ অংশে লোডশেডিং হত।
কেন্দ্রের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, মিশ্রণের জন্য কয়লা আমদানির বিষয়টি পরিবর্তনশীল এবং ঘরোয়া কয়লার জোগানের উপর নির্ভর করে। যখন ঘরোয়া কয়লার জোগান পর্যাপ্ত থাকে, তখন কয়লা আমদানি করা হয় না বা কম পরিমাণেဣ কয়লা আমদানি করা হয়। তারপর আরও একধাপ এগিয়ে চূড়ান্ত বেলাগাম আক্রমণ শানিয়ে শক্তি মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, 'ন্যূনতম বুদ্ধি থাকা যে কেউ এটা বুঝতে পারবেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ওই সাংবাদিকের সেই বিষয়টি নেই।'
একজন সাংবাদিকের প্রত🅠ি কেন্দ্রীয় সরকারের সেই ভাষা প্রয়োগে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে নেটপাড়া। অনেকেই কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত 'অপরিণতবোধ মানসিকতার' পরিচয় বলে মন্তব্য করেছেন। একজন বলেন, 'যদি কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রক এতটাই বিরক্ত হয়, তাহল ওই সাংবাদিক ভালো কাজ করেছেন বলে ধরতে হবে।' তবে অনেকেই আবার শক্তি মন্ত্রকের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, ওই সাংবাদিক ভুল তথ্য দিয়েছেন। তাই ঠিক করেছে কেন্দ্র।