কৃষকদের জন্য সুখবর! প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি (পিএম কিষান) প্রকল্পের ১৯ তম কিস্তির দিন ঘোষণা করল কেন্দ্র। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী🍸 পিএম কিষানের ১৯ তম কিস্তির টাকা প্রকাশ করতে চলেছেন। প্রধানমন♋্ত্রী মোদী ওই দিন বিহারের ভাগলপুর জেলায় কিস্তির সূচনা করার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনও করবেন। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শেষের দিকে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে বিহার থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন: আবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পা রাখল বাংলায়, এবার কোন প্রকল্পের তদন্তে𓃲 নামছে?
প্রধানমন্ত্রী মোদীর এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট অনুযায়ী, তিনি বিহারে একদিন কাটাবেন এবং সেখানে একটি সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার পাশা🌠পাশি পিএম কিষানের ১৯ তম কিস্তির অর্থ প্রকাশ করবেন। এই তথ্য জানিয়ে মোদী এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমাদের সরকার কৃষকদের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ। সেই চেতনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভাগলপুরের কর্মসূচি থেকে কোটি কোটি কৃষকের মধ্যে পিএম কিষান-এর ১৯ তম কিস্তি বিতরণ করা হবে।’
নরেন্দ্র মোদীর বিহার সফর সম্পর্কে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পূর্ব চম্পারণ জেলার মোতিহারি এলাকায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য একটি উৎকর্ষ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। পরে বেগুসরাই জেলার বারাউনি এলাকায় একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইসমাইলপুর-রফিগঞ্জ সড়ক ওভারব্রিজ এবং ওয়ারিসালিগঞ্𒐪জ-নওয়াদা-তিলাইয়া রেল সেকশনের উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করবেন। বিবৃতিতে ১৯ তম কিস্তি প্রকাশের বিষয়ে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে ৯.৭ কোটিরও বেশি কৃষক সরাসরি ২১,৫০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পিএম-কিষান প্রকল্প চালু হয়েছিল। এই প্রকল্পের আওতায় সরকার বৈধ তালিকাভুক্ত কৃষকদের বছরে ৬,০০০ টাকা সহায়তা প্রদান করে। প্রতি চার মাস অন্তর ২০০০ টাকা দিয়ে থাকে কেন্দ্র। নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী গত ৫ 💮অক্টোবর মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম জেলায় পিএম কিষান প্রকল্পের ১৮ তম কিস্তি প্রকাশ করেছিলেন। এর ফলে সারা দেশের ৯ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি কৃষক সরাসরি আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন। যার আর্থিক পরিমাণ ২০,০০০ কোটি টাকারও বেশি ।