জয়দেব ঠাকুর, শচিন সাইনি
জগদীপ ধনখড়। বাংলার রাজ্যপাল ছিলেন। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। উপরাষ্ট্রপতির পদে বসতে চলে༺ছেন তিনি। এবার জেনে নেওয়া যাক তাঁর জীবনের নানা দিক।
৬ দশক আগের ঘটনা। সেই দিনটার কথা এখনও মনে আছে হরপল রাঠির। ১১ বছর বয়সী জগদীপ ধনখড় রাজস্থানের চিতোরগড়ে সৈনিক স্কুলে ভর্তি হতে এসেছিলেন। সেই স্কুলেরই টিচার ছিলেন হরপল রাঠি। সেই সময় একেবারে কিশোর বয়স জগদীপ ধনখড়ের। পাঁচটি ডিক্সনারি নিয়ে স্কুলে এসেছিলেন তিনি। এমনটাই বলতেন তাঁর ভাই। তাঁর ইংরাজি জ্ঞান দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন শিক্ষকরাও। প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় ১৯৬৫ সালে প্রথম হয়েছিলেন ধনখড়। ইংরাজিতে একেবারে তুখোড়। ফুটবল- হকিও ভালোই খেলতেন। ন্যাশানাল ডিফেন্স আকাদেমি থেকেও পাশ করেছিলেন। কিন্তু চোখের সমস্য🔯ার জন্য মেড🃏িকেলে আটকে যান।
ইংরাজিতে অত্যꦑন্ত দক্ষ। বাংলায় মমতা ব🎉ন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যখন চোখা চোখা শব্দ প্রয়োগ করতেন ধনখড়, টুইট করতেন সেসব খসড়া করতেন ধনখড় নিজেই। পরে আইনজীবী হিসাবেও তিনি সংবিধানের নানা দিক সম্পর্কে দক্ষ হয়ে ওঠেন।
রাজস্থানের ঝুনঝুনু জেলায় ১৯৫১ সালের ১৮ মে জন🦂✃্ম ধনখড়ের। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে অনার্স নিয়ে পাশ করার পরে তিনি এলএলবি করেন।১৯৯০ সাল পর্য𒉰ন্ত তিনি সুপ্রিম কোর্টে প্র্🎶যাক্টিশ করতেন।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে তিনি বাংলার রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। আর তারপরে একেবারে ঝোড়ো ইনিংস। শাসক তৃণমূলকে, তৃণমূল নেত্ღরীকে তিনি একেবারে রুটিন করে আক্রমণ করতেন। সেই তৃণমূল অবশ্য় এদিন তাঁকে ভোটদানে বিরত ছিল।
তবে রাজনৈতিক জীবনও বেশ বৈচিত্রের। ১৯৮৯ সালে তিনি জনতা দলের এমপি ছিলেন𓆏। ১৯৯০ সালে তিনি কেন্দꦬ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। ১৯৯৩ সালে তিনি রাজস্থানের বিধায়ক হয়েছিলেন।