পাঞ্জাব: খেত থেকে ফসল তোলার কাজ শেষ। এর পর খেতে যা পড়ে থাকে, তা হল অবশিষ্টাংশ। ধানের ক্ষেত্রে এই অবশিষ্ট অংশ হল খড়। রোদে শুকিয়ে যাওয়া এই খড় একদিন দিনক্ষণ দেখে পুড়িয়ে দেওয়া হয় (Paddy Waste)। কিন্তু তাতে আদতে ক্ষতি হয় পরিবেশের। কারণ খড় পোড়ানোর 🥃ফলে প্রচুর পরিমাণে দূষণ হয়। উৎপন্ন হয় কার্বন ডাই অক্সাইড। এই কার্বন ডাই অক্সাইড আশেপাশের বাতাসে মিশে দূষণের মাত্রা বাড়িয়𒁃ে দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে সচেতনতা প্রচার করে চলেছেন. যাতে এই দূষণের মাত্রা কমানো যায়। এবার চাষিদের মধ্যেও দেখা গেল সেই সচেতনতা।
আরও পড়ুন - Health News: প্রস্রাবের পর নারী,পুꦆরুষ উভয়েই ভুলে যান এই🃏 কাজ করতে! বলছে গবেষণা
খড় থেকে পরিবেশের ক্ষতি কমবে কীভাবে
খড় না পোড়ালে কী করা হবে? গরুদের প্রধান খাদ্য বিচালি। কিন্তু তাদের খাবার হিসেবে দেওয়ার পরও অনেক উদ্বৃত্ত থেকে যায়। এই অবস্থায় খড় পোড়ানো ছাড়া অনেকেই বিকল্প পথ খুঁজে পান না। যার ফলে দূষণ অবশ্যসম্ভাবী হয়ে ওঠে। কিন্তু কৃষিবিজ্ঞানীদের কথায়, এই খড় না পুড়িয়ে চাষের কাজেই ꦐলাগানো যেতে পারে। জৈব বিয়োজন ঘটিয়ে খড়গুলিকে চাষের জন্য ব্যবহার করা হয়। মাটিতে এই বিয়োজিত পদার্থ ছড়িয়ে দিলে মাটির উর্বরতা বেড়ে যায়। অন্যদিকে চাষের খরচও যায় কমে।
খড় না পুড়িয়ে কাজে লাগালে কী কী উপকার?
- খড়ের জৈব বিয়োজন ঘটিয়ে মাটিতে দিলে মাটির উর্বরতা বেড়ে যায়।
- চাষের খরচ পরোক্ষভাবে কমে যায়। কারণ আলাদা করে সার লাগে না।
- পরিবেশ দূষণও কমবে অনেকটাই (Environment Pollution)।
আরও পড়ুন -
চাষিরাই খড় পোড়ানোর বিরুদ্ধে
পাঞ্জাবে (Punjab News) ধীরে ধীরে এই সচেতনতা ছড়াতে শুরু করেছে। চাষের দিক থেকে ওই রাজ্য় ইতিমধ্যেই বেশ উন্নত। নানা সময় কৃষকদের আন্দোলনেও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে এই রাজ্য। ওই রাজ্যের কিছু চাষিরাই বর্তমানে খড় পোড়ানোর বিকল্প ব্যবস্থা (Paddy Waste Management) চালু করেছে। যেমন সুখপল সিংয়ের মতো চাষিরা খড় না পুড়িয়ে চাষের কাজেই লাগাচ্ছেন। এর ফলে চাষের খরচও কমে যাচ্ছে। বিকল্প পদ্ধতির জেরে দূষণ কমছে। আশেপাশের শহরগুলিౠর বায়ুও বিশুদ্ধ থাকছে।