অবশেষে রবিবার খোলা হল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডার। মোহন চরণ মাজি এই নিয়ে একটি বিবৃতিও জারি করেন। উল্লেখ্য, বিধানভা ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে পুরীর রত্ন ভাণ্ডার খোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল গেরুয়া শিবির। সেই মতো পুরীর রহস্যময় এই কোষাগারের দরজা আজ খোলা হল। আজ ঠিক দুপুর ১টা বেজে ২৮ মিনিটে ‘পবিত্র মুহূর্তে’ খোলা হয় এই ভাণ্ডারের দরজা। রবিবার রত্ন ভাণ্ডারের দরজা খোলার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল ৬টি বড় সিন্দুক। অবশ্য আজ সেই রত্ন ভাণ্ডারে শুধু বিশেষজ্ঞ কমিটির দলের সদস্যরা ঘুরে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়িয়ে ২৩৯ শতাংশ করলꦚেন মুখ্যমন্ত্রী, বকেয়া মিলব🃏ে কবে?)
আরও পড়ুন: সোমে রাজ্য সরকারি কর্মীরা পেত𓃲ে পারেন ডিএ-বেতন নিয়ে বড় সুখবর, সামনে নয়া আপডেট
এর আগে এই মন্দিরের কোষাগারের দরজা সর্বশেষ ১৯৭৮ সালে খোলা হয়েছিল। এদিকে রত্ন ভাণ্ডারে থাকা গয়না ও অন্যান্য সম্পদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে আমরা আরবিআইয়ের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। রত্ন ভাণ্ডারের সামগ্রীর তালিকা তৈরির সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এর আগে ১৯৭৮ সালে যখন রত্ন ভাণ্ডারের সামগ্রীর তালিকা তৈরি করা হয়েছিল, সেবার ৭০ দিন লেগেছিল সেই কাজ সম্পন্ন করতে। তবে এবার ডিজিটাল ক্যাটালগ তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। (আও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় জারꦕি সতর্কতা, রাজ্য জুড়ে ৫ জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস)
আরও পড়ুন: কলকাতায় পরপর চারদিন বাড়ল সোনার দাম, আজ 💃কততে বিকোচ্ছে ২২ ক্যারেট ধাতু?
এদিকে রত্ন ভাণ্ডার খুলে তার ভিতরের সামগ্রী দেখার জন্যে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে ভিতরে কাঠের বাক্সে সব জিনিস রাখা থাকত, এই আবহে সেই সব বাক্সের কী হাল, তা জানা নেই কারও। কারণ এত বছরে সেই রত্ন ভাণ্ডারের কোথা থেকে জল চুইয়ে পড়তেই পারে। এর আগে ১৮০৫ সালে প্রথমবার সরকারি ভাবে জানা গিয়েছিল যে পুরীর রত্ন ভাণ্ডারে কী আছে🌃। এই রত্ন ভাণ্ডার আদতে ১১.৮ মিটার উঁচু একটি মন্দির। প্রায় ২০৯ বছর আগে পুরীর তৎকালীন কলেক্টর চার্লস গ্রোম দাবি করেছিলেন রত্ন ভাণ্ডারে ময়ূরপঙ্খির আকারের মুকুট থেকে শুরু করে সুন্দর কারুকার্য করা সোনা ও রুপোর গয়না আছে প্রায় ৬৪। এছাড়াও শতাধিক মোহর থাকার কথা তিনি উল্লেখ করেছিলেন। এপর ১৯৫০ সালে শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডিনিস্ট্রেটিভ অ্যাক্ট কার্যকর করা হয়। সেই সময় রত্ন ভাণ্ডারের সোনা-দানার পরিমাণ আরও অনেক গুণ বেশি ছিল।
৪৬ বছর আগের তথ্য অনুযায়ী, পুরীতে জগন্নাথ দেবের রত্ন ভাণ্ডারে মোট ৪৫৪টি সোনার গয়না, যার ওজন আনুমানিক ১২৮৩৮ ভরি এবং২৯৩টি রুপোর গহনা রয়েছে, যার ওজন ২২১৫৩ ভরি। এরমধ্যে রত্ন ভাণ্ডারের বাইরের যে অংশ রয়েছে, তাতে রাখা আছে জগন্নাথদেবের মণি-মুক্তো জড়ানো সাজসজ্জা। ৭৯টি সোন🥃ার গহনা, ৩৯টি রুপোর গহনা আছে। সঙ্গে রয়েছে নিত্য ব্যবহারের আরও সোনাদানা। ব্রক্ষ্মজ্যোতি হিরে, বলরামের নীলা, সুভদ্রার মণিমুক্তোও রয়েছে। ভিতরের ভাণ্ডারে কী কী রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ৩৫০-রও বেশি সোনার গয়না ও ২৩০টিরও বেশি রুপোর গহনা আছে বলে জানা যায়।