গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে দেশে, বিদেশে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী। আজ ভারত জোড়ো যাত্রায় হাঁটার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, 'সত্যের অভ্যাস, যে সে বেরিয়ে আসবেই।' রাহুল গান্ধী এই নিয়ে বলেন, 'আপনি যদি আমাদের ধর্মগ্রন্থ পড়ে থাকেন, যদি আপনি ভগবত গীতা বা উপনিষদ পড়েন... আপনি লক্ষ্য করতে পারেন যে সত্য সর্বদা বেরিয়ে আসে। আপনি (ডকুমেন্টারি) নিষিদ্ধ করতে পারেন... আপনি সংবাদমাধ্যমকে দমন করতে পারেন... আপনি প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, আপনি সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সমস্ত সংস্থাকে ব্যবহার করতে পারেন তবে সত্য বেরিয়ে আসবেই।' (আরও পড়ুন: মোদীর ওপর BBC-র ডকুমেন্টারি নিয়ে ꦜপ্রশ্ন পাক সাংবাদিকের, কী বলল আমেরিকা?)
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, 'সত্য উজ্জ্বল হয়। এর বাইরে বেরিয়ে আসার বাজে একটা অভ্যাস আছে। তাই কোনও প্রকার নিষেধাজ্ঞা, নিপীড়ন ও ভয়ভীতি মানুষকে সত্য প্রকাশে বাধা দিতে পারবে না।' এর আগে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে কেন্দ্রের 'সেন্সর নীতি'কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ প্রশ্ন করেন, 'কেন মোদীকে রাজধর্ম মনে করিয়েছিলেন তৎকালীন (গুজরাট দাঙ্গার সময়) প্রধ🦹ানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ী?' জয়রাম রমেশের কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর ড্রামাররা দাবি করেছেন যে তাঁর উপর নতুন বিবিসি ডকুমেন্টারি নিন্দনীয়। সেন্সরশিপ আরোপ করা হয়েছে। তাহলে কেন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী ২০০২ সালে তাঁকে সরাতে চেয়েছিলেন? শুধুমাত্র আডবাণীর পদত্যাগের হুমকির চাপেই সেই পদক্ষেপ করেননি তিনি।' কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপালই বলেছিলেন, '২০০২ সালের ২১ বছর পর আজও সত্যিকে ভয় পায় বিজেপি।'
আরও পড়ুন: 'কোনও প্রমাণ লাগবে না', সার্জিক্যাল স্টꦚ্রাইর নিয়ে দিগ্বিজয়ের বিরোধিতা রাহুলের
উল্লেখ্য, এর আগে ভারত সরকারের তরফে বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে কড়া প্রতিক্♌রিয়া দেওয়া হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে বলেছিলেন, 'এই তথ্যচিত্রটির পিছনে নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা রয়েছে।' প্রসঙ্গত, ‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর দুই পর্বে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর 'ভূমিকা' তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও জানিয়েছেন, এই তথ্যচিত্রের মোদীর চরিত্রায়ণের সঙ্গে তিনি একমত নন। অভিযোগ, এই তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাটের তৎকালীন ম📖ুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'ভুল চরিত্রায়ণ' হয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, এই তথ্যচিত্রে বহু মানুষের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। তাতে যেমন প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তেমনই বিজেপির সদস্যদের প্রতিক্রিয়াও আছে। পরে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবের তরফে ইউটিউব ও টুইটারে সেই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত যাবতীয় ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সম্বলিত ৫০টিরও বেশি টুইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। আজ এই তথ্যচিত্রটির দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচারিত হবে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক