যে আসনে লড়তে অনীহা ছিল, সেই লোকসভা আসনই ধরে রাখছেন রাহুল গান্ধী। উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্র ধরে রাখছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ছেড়ে দিচ্ছেন কেরলের ওয়েনাড়। সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা লড়াই করবেন বলে জানিয়েছেন রাহুল। ‘খারাপ’ সময় সেই ওয়েনাড়ের সুবাদেই সাংসদ হতে পেরেছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ২০১৯ সালে আমেঠিতে হেরে গিয়েছিলেন। জিতেছিলেন ওয়েনাড় থেকে। এবার ‘ভালো’ সময় সেই আসনই ছেড়ে দিলেন। তবে নিজের একেবারে কাছের মানুষ পꦕ্রিয়াঙ্কাকে সেই আসন দিয়েছেন। তিনি জিতলে গান্ধী পরিবারের একজন সদস্যকেই সাংসদ হিসেবে পাবে কেরলের লোকসভা কেন্দ্র। প্রিয়াঙ্কাও বলেছেন, ‘আমি ওয়েনাড়ের মানুষকে রাহুলের অনুপস্থিতি মালুম হতে দেব না।’
রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্রে রাহুলের জয়ের ব্যবধান
এবার রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়াই করেননি রাহুলের মা সোনিয়া। একেবারে শেষলগ্নে এসে কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল যে রাহুল লড়াই করবেন। আর মায়ের কেন্দ্র থেকে প্রায় চার লাখ ভোটে জিতেছেন 𝓰রাহুল। বিজেপি প্রার্থী দীনেশপ্রতাপ সিংকে ৩,৯০,০৩০ ভোটে হারিয়ে দেন। রাহুলের পুরনো আসন আমেঠি থেকেও জিতেছে কংܫগ্রেস।
ওয়েনাড়ে লোকসভা কেন্দ্রে রাহুলের জয়ের ব্যবধান
কেরলের ওয়েনাড থেকে ৩,৬৪,৪২২ ভোটে জেতেন রাহুল। সেই কেন্দ্রে এবার ত্রিমুখী লড়াই হয়েছিল। সিপিআইএমের টিকিট লড়াই করেছিলেন অ্যানি রাজা। আর বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্য সভাপতি কে সুরেꦺন্দ্রন। অ্যানিকে ৩.৬ লাখের বেশি ভোটে দাঁড়িয়ে দেন রাহুল। তৃতীয় স্থানে শেষ করেন বিজেপি প্রার্থী।
‘আমার জন্য কঠিন সিদ্ধান্ত’, বললেন রাহুল
রাহুল কোন আসন ধরে রাখবেন, সেটা নিয়ে সোমবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে বৈঠকে বসে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাতে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী, রাহুল, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি🉐 বেণুগোপালরা। বৈঠকের পরে রাহুল জানিয়েছেন যে রায়বরেলি এবং ওয়েনাড়ের মধ্যে কোনও একটি কেন্দ্রকে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠিন। কারণ দুটি কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁর আবেগ জড়িয়ে আছে।
তিনি বলেন, 'গত পাঁচ বছর ধরে ওয়েনাড়ে সাংসদ থাকার যে অভিজ্ঞতা 🧜ছিল, সেটা দুর্দান্ত ছিল। দারুণ অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। প্রতিটি কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করার জন্য আমায় সাহায্য এবং শক্তি জুগিয়েছিলেন 🐟ওয়েনাড়ের মানুষ। আমি কখনও সেটা ভুলব না।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ওয়েনাড়ে যাব। আর ওয়েনাড়ের মানুষের কাছে যে প্রতিজ্ঞা করেছি, সেটা পূরণ করব।’
আরও পড়ুন: Igor Stimac sacked: কাতারের 'চুরির গোল'-ꦅও বাঁচাতে পারল না স𓃲্টিম্যাচকে! চাকরি গেল ভারতের হেড কোচের