দীর্ঘ আট বছর পর ফের একবার চালু হল ভারত ও নেপালের মধ্যকার ট্রেন চলাচল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা আজকে যৌথভাবে হায়দরাবাদ হাউস থেকে দিল্লির জয়নগর-জনকপুর-কুর্থা পর্যন্ত এই ট্রেন পরিষেবা উদ্বোধন করেন। এদিন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘উন্মুক্ত সীমান্তে’র অপব্যবহার প্রসঙ্গে সতর্ক করেন। এদিন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনা কর♚েছি যে ভারত ও নেপালের মধ্যকার উন্মুক্ত সীমান্তের যাতে অপব্যবহার না হয়। আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখার উপরও জোর দিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরে নেপাল ক্রমেই চিনের ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে নেপালের। তবে ফের ভারত-নেপাল সম্পর্ক মেরামত হচ্ছে। এই আবহে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দেউবা এই প্রথম বিদেশ সফরে বেরিয়েই ভারতে এলেন। এদিন রেল🥂ের পাশাপাশি বিদ্যুত্ সরবরাহ নিয়েও আলোচনা হয় দুই দেশের মধ্যে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী ভারত-নেপাল সম্পর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ‘ভা🌜রত ও নেপালের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অনন্য... এমন বন্ধুত্ব বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায় না। আমাদের যৌথ দৃষ্টি বিবৃতি ভবিষ্যতে সহযোগিতার নীলনকশা হিসেবে প্রমাণিত হবে।’
মোদী এদিন আরও বলেন, ‘আজ নেপালের প্রধানমন্ত♏্রী ভারত সফরে এসেছেন কারণ দেশটি নতুন বছর উদযাপন করছে। তিনি ভারতের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আমাদের বন্ধন আদ্যিকাল থেকে। আমাদে🐠র জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক হল আমাদের অংশীদারিত্বের ভিত্তি। আমাদের দুই দেশের জনগণই আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করে তোলে। ভারত নেপালের শান্তি, অগ্রগতি এবং উন্নয়নের যাত্রায় দৃঢ় অংশীদার ছিল এবং থাকবে।’