একটি ভাইরাল অডিয়োর প্রেক্ষꦍিতে এক টিকিট পরীক্ষককে সাসপেন্ড করে দিল ভারতীয় রেল। পশ্চিম রেলওয়ের মুম্বইয়ের ডিভিশনাল রেলওয়ে 🍨ম্যানেজারের অফিসের তরফে বলা হয়েছে, 'আমরা এই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি। যে কর্মী ধর্মীয় সম্প্রদায় এবং মহারাষ্ট্রের মানুষদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন, তাঁকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে।' সেইসঙ্গে মুম্বইয়ের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারের অফিসের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। ভারতীয় রেলের মানদণ্ড এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু ওই ভাইরাল অডিয়োয় কী ছিল?
ওই ভাইরাল ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন⛄্দুস্তান টাইমস বাংলা) এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'স্যার, আমি না উত্তরপ্রদেশের লোক। আমার নাম আশিস পান্ডে।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্যার, আম⛄ি যখন থেকে বড় হয়েছি, তখন থেকে আমি মুসলিম এবং মহারাষ্ট্রের লোকেদের ব্যবসা দিই না। কোনও অটোচালক যদি মুসলিম বা মহারাষ্ট্রের মানুষ হন, তাহলে তাঁর অটোয় বসি না আমি। আমি উত্তরপ্রদেশের অটোচালকের অটোয় বসি।’
ভাইরাল অডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তা꧃ন টাইমস বাংলা) ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘যখন আপনার নম্বরটা আমায় পাঠানো হয়েছিল, তখন আপনাকে মেসেজ করেছিলাম। পরে ডিলিট করে দিয়েছিলাম। আপনার মনে থাকবে। আমি দেখেছিলাম নামটা মহারাষ্ট্রের লোকের। ব্যবসাই করব না। মুনাফা দেবই না।’
ভাইরাল অডিয়োয় কী কী আছে?
সেখানেই শেষ হয়নি ভাইরাল অডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। অডিয়োয় ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘১,৭৭💞০ টাকা নিয়ে সকাল ন’টায় আমি কাজে যাচ্ছি। ১০ টার মধ্যে ৫,০০০ টাকা কামিয়ে ফেলব। তো টাকা-পয়সার মায়া নেই আমার। কিন্তু আমি প্রতিজ্ঞা করেছি যে মুম্বইয়ে থেকে আমি মুসলিম এবং মহারাষ্ট্রের মানুষকে এক টাকারও ব্যবসার সুযোগ দেব না। ঠিক আছে? থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ স্যার। এটা মনে রাখবেন।'
তুমুল চটেছেন নেটিজেনরা
আর সেই অডিয়ো🐭 মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। রীতিমতো চটে গিয়েছেন নেটিজেনদের একাংশ। এক নেটিজেন বলেন, ‘এরকম মানুষদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। বিষ ছড়াচ্ছেন এরকম মানুষজন।’ অপর একজন বলেন, ‘এরকম একজন লোকের সঙ্গে বাকিদের বদনাম হয়।’ কেউ-কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এক ঘণ্টার মধ্যে ৫,০০০ টাকা কামাবেন বলছেন? ঘুষ নেবেন?’