অযোধ্যার রামমন্দিরে আগামী ২২ জানুয়ারি 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' করা হবে ভগবান শ্রী রামের। সেই অনুষ্ঠানের ১১ দিন আগে থেকে অনুষ্ঠান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, অযোধ্যায় রামলালার 'প্রাণ প্রতিষ্ঠ'-র আর মাত্র ১১ দিন বাকি। এই আবহে আজ সকালে এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন, 'আমি সৌভাগ্যবান যে এই শুভ অনুষ্ঠানের সাক্ষী হতে পেরেছি। ঈশ্বর আমাকে এই অনুষ্ঠানে ভারতের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে বলেছেন। সেই কথা মাথায় রেখেই আজ থেকে ১১ দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান শুরু করছি। আমি আপনাদের সকলের কাছে আশীর্বাদ কামনা করছি।' সেই বার্তায় মোদী আরও বলেন, 'এই মুহূর্তে আমি এতটাই আবেগ আপ্লুত যে তা প্রকাশ করার জন্য পর্যাপ্ত শব্দ নেই।' (আরও পড়ুন: রামমন্দির নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়াচ্ছে এই ভ🅷ুয়ো বার্তা, রামভক্তরা হয়ে যান সতর্ক)
হিন্দু শাস্ত্র꧂ অনুসারে, কোনও দেবতার মূর্তির 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' একটি বিশদ আচার। এর কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। 'প্রাণ প্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানের আগে তা অনুসরণ করা প্রয়োজন। ব্যস্ত সূচী এবং দায়িত্ব সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মোদী সেই সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী। ভারত ও বিদেশ থেকে বেশ কয়েকজন ভিভিআইপি অতিথি এই অনুষ্ঠানের জন্য আমন্ত্রিত। এই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে মূল অনুষ্ঠানের এক সপ্তাহ আগে, ১৬ জানুয়ারি থেকেই বৈদিক অনুষ্ঠান শুরু হবে। বারাণসীর পুরোহিত লক্ষ্মীকান্ত দীক্ষিত ২২ জানুয়ারি মূল 'প্রাণ প্রতিষ্ঠ' অনুষ্ঠানের পৌরহিত্য করবেন। এই উপলক্ষে ১০০৮ হুন্ডি মহাযজ্ঞেরও আয়োজন করা হবে। সেখানে হাজার হাজার ভক্তকে প্রসাদ খাওয়ানো হবে। এদিকে এই কয়েক হাজার ভক্তদের থাকার জন্য অযোধ্যায় বেশ কয়েকটি তাঁবু শহর তৈরি করা হচ্ছে। শ্রীরাম জন্মভূমি ট্রাস্টের🍒 পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষের জন্য এই ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ঐতিহ্যবাহী নাগারা শৈলীতে নির্মিত রাম 🍌মন্দিরটি তিনতলা বিশিষ্ট ভবন। এর দৈর্ঘ্য ৩৮০ ফুট (পূর্ব-পশ্চিম দিক), প্রস্থ ২৫০ ফুট এবং উচ্চতা ১৬১ ফুট। এতে মোট ৩৯২টি স্তম্ভ ও ৪৪টি দরজা রয়েছে। এতে পাঁচটি মণ্ডপ বা হল রয়েছে। সেগুলি হল - নৃত্য মণ্ডপ, রং মণ্ডপ, সভা মণ্ডপ, প্রার্থনা এবং কীর্তন মণ্ডপ। রিপোর্ট অনুযায়ী, রামমন্দিরের এক এবং দো'তলা তৈরি হতে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর হতে পারে। এদিকে সম্প্রতি অযোধ্যার রাম মন্দিরে শ্রীরামচন্দ্রের বিগ্রহ চূড়ান্ত হয়। জানা গিয়েছে, শ্রীরামচন্দ্রের বাল্য অবস্থাকে কল্পনা করে এই মূর্তি তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, যে মূর্তিটি অযোধ্যার রামমন্দিরে বসতে চলেছে, তা নির্মাণ করেছেন কর্ণাটকের বিখ্যাত ভাস্কর্য শিল্পী অরুণ যোগীরাজ।
জানা গিয়েছে, ২২ জানুয়ারিꦇ দুপুরে রামলালাকে নবনির্মিত মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত করা হবে। অবশ্য এর এক সপ্তাহ আগে, ১৬ জানুয়ারি থেকেই অনুষ্ঠান শুরু হয়ে য🦂াবে। রামলালার 'প্রাণ প্রতিষ্ঠার' জন্য শুরু হবে যজ্ঞ। ১৪ থেকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় পালিত হবে 'অমৃত মহোৎসব'। এই আবহে স্থানীয় প্রশাসনও তৎপর হয়েছে।