দীক্ষা ভরদ্বাজ
যত কাণ্ড এ আর রহমানের বিখ্যাত গান ‘মা তুঝে সালাম’কে ঘিরে। সেই গানের লিঙ্ক দেওয়া একটি পোস্টের জন্য শুক্রবার এক ঘণ্টার মতো কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদকে নিজের📖 অ্যাকাউন্টে ঢুকতে দেয়নি টুইটার। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লুমেন ডেটাবেসের কাছে টুইটারের যে নোটিশ এসেছে, তা থেকে এমনই তথ্য মিলল।
বিতর্কিত নয়া তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ম নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কেন্দ্র ও টুইটারের সংঘাত চরমে উঠেছে। তারইমধ্যে শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি দাবি করেন, কপিরাইট আইন ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে প্রায় এক ঘণ্টা নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে দেওয়া হꦛয়নি। টুইটারের ভারতীয় বিকল্প 'কু'-তে কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ অত্যন্ত উদ্ভট ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের ভঙ্গের অভিযোগে প্রায় এক ঘণ্টার মতো আমার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে দেয়নি টুইটার। পরে ওরা (টুইটার) আমার অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেয়।’ তিনি দাবি করেন, টুইটার যে কাজ করেছে, তাতে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৪(৮) নিয়ম ভঙ্গ হয়েছে। কারণ অ্যাকাউন্টে ঢুকতে না দেওয়ার পদক্ষেপের আগে তাঁকে কোনও নোটিশ দেয়নি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা।
পরে টুইটারের তরফেও একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়,🐷 একটি নির্দিষ্ট টুইটের জন্য রবিশংকের টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলতে দেওয়া হয়নি। সেই টুইটও ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের এক মুখপাত্র বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিটাল মিলেনিয়াম কপিরাইট আইনের নোটিশের ভিত্তিতে মাননীয় মন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের উপর সাময়িকভাবে বিধিনিষেধ চাপানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট টুইট ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কপিরাইট নীতি অনুযায়ী, আমরা কপিরাইটের মালিক বা তাঁদের অনুমোদিত প্রতিনিধিদের পাঠানোর অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করি আমরা।’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেন, টুইটারের ‘স্বেচ্ছাচারী’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য এবং তাঁর সাক্ষাৎকারের যে প্রভাব পড়েছে, তাতে যে সোশ্যাল মিডিয়ার সংস্থার ডানা এলোমেলো হয়েছে গিয়েছে, তা স্পষ্ট। যদিও অ্যাক্সেস নাওয়ের এশিয়া-প্যাসিফিকের নীতি অধিকর্তা রামন চিমা জানান, টুইটার কর্পোরেশনের তরফে টুইটারকে পরিষেবা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, ‘এভাবেই টুইটারের কাঠামো তৈরি করা হয়েছে। একইভাবে কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য অন্য কোনও বিচারবিভাগের আওতায় কাজ করা সত্ত্বেও টমেটো যদি ভারতীয় কোনও কর্তৃপক্ষের থেকে আইনি নোটিশ পায়, তাহলে তা ভারতীয় আইনকে উপেক্ষা করতে পারে না।’ সঙ্গে রবিশংকরকে খোঁচা দিয়ে রামন জানান, এটা অত্যন্ত বিপরীতমুখী বিষয় যে এমন একটি সংস্থাকে🌸 নিয়ে মন্ত্রী নালিশ করছেন, যারা নিয়ম প্রণয়নের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কড়া। অথচ নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মাধ্যমে ভারতে একইরকম অবস্থা তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার।