আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার জেরে এখন গোটা রাজ্য উত্তাল। এই অভিযোগের জেরে প্রতিবাদ–আন্দোলন–ধরনা–স্লোগান সবই চলছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এবার রাজ্য বিধানসভায় ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী🅰দের বিরুদ্ধে কড়া আইন নিয়ে আসতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সেই বিল পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজভবনে। এমন আবহে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়ালের সঙ্গে দেখা করলেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক হয়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রায় ২০ দিন হয়ে গেল। এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি সিবিআই তদন্তের বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। ইতিমধ্যেই শহর থেকে গ্রামবাংলায় বিচারের দাবিতে স্লোগান উঠেছে, ’উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। মেয়ো রোডের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া আইন আনার কথা বলেছেন। তারপর বিধানসভায় তা পাশ করিয়ে 🍸রাজ্যপালের কাছে পাঠাবেন। আর তাতে সই করার জন্য রাজভবনে মেয়েদের বসিয়ে রাখবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তারপরই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্য যে আইন আনতে চলেছে তা নিয়ে কথা হয়ে থাকতে পারে। রাজভবনের😼 সাংবিধানিক ভূমিকা কী হবে সেটা নিয়েই তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘নেংটি থেকে ধেড়ে সকলের নাম ওই তালিকায় আছে’, সিবিআইকে জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা
অনেকদিন ধরেই বাংলায় আন্দোলন চলছে। এবার সরাসরি কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যে ইস্যুতেই কথা বলুক না কেন তা বাইরে খোলসা করেননি তিনি। ইতিমধ্যেই ধর্ষণ বিরোধী কড়া আইন আনতে প্রধানমন্ত্রীকে দু’বার চিঠি দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পক্ষ থেকে সেভাবে সাড়া মেলেনি। এই পরিস্থিতি🅺র মধ্যেই রাজ্যের সার্বিক অবস্থা নিয়ে রিপোর্ꦍট দিয়েছেন রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে। তারপরই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যপাল।
ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযানের ডাক দꦿিয়েছেন। পাল্টা সিবিআই দফতর ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালতীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আর এই আবহে বাংলার রাজ্যপালের নয়াদিল্লি গিয়ে পর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ নানা গুঞ্জন তৈরি করেছে। তাহলে কি কোনও গোপন ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে? উঠছে প্রশ্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ধর্ষণ–খুন প্রতিরোধে কড়া আইন আনতে চলেছে। সেই আইনটি নিয়ে কথা বলতেই রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বলে সূত্রের খবর। আ🔯ইনটি বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর রাজভবনে আসবে। তখন তাঁর কতর্ব্য কী হবে? এই প্রশ্নে দু’জনের মধ্যে কথা হয়ে থাকতে পারে।