খুব শীঘ্রই এসসিও-র বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানে। এই আবহে সেই বৈঠকে যোগ দিতে পড়শি দেশে যাবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এহেন পরিস্থিতিতে অনেকেরই মনে প্রশ্ন উঠেছিল, ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে দ্বিপাক্ষিক কোনও বৈঠক কি হবে জয়শংকরের এই সফরকালে? তবে সেই জল্পনায় আগেই জল ঢেলেছিল কেন্দ্রীয় বিদেশ মন্ত্রক। এবার জানা যাচ্ছে, পাক প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত নৈশভোজের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যেতে পারেন জয়শংকর। সেখনে পাকিস্তানের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক ভাবে কুশল বিনিময় হতে পারে জশংকরের। তবে গুরুত্বপূর্ণ কোনও বিষয় নিয়ে কথাবার্তার সম্ভাবনা কম এই সময়ে। জয়ংকর নাকি পাকিস্তানে পা রাখার কিছুক্ষণ পরই শেহবাজের নৈশভোজে যেতে পারেন। এই নৈশভোজে এসসিও বৈঠকে আমন্ত্রিত সব বিদেশি অতিথিরাই থাকবেন। (আরও পড়ুন: মোদীর কড়া পদক্ষেপ, এরপরই ভারতের বন্ধু রাষ্ট্রের কান ভাঙ🀅ানোর চেষ্টা ট্রুডোর)
আরও পড়ুন: 'CC1'-কে গ্রেফতার করেছে দিল্লি, পান্নুন হত্য✨া ছকে ভারতের তদন্তে সন্তুষ্ট আমেরিকা
আরও পড়ুন: প্যানগং সো-র কাছে বিশাল ঘাঁটি চিনের, খাঁ খাঁ করা জ🐲মিতে ৮ মাসেই উঠল ৭০ বিল্ডিং
এদিকে এর আগেই জয়শংকর নিজে জানিয়ে দিয়েছিলেন, পাকিস্তান সরকারের কারও সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা নেই। এই ইস্যুতে তিনি ক'দিন আগেই বলেছিলেন, 'এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে আমার পাকিস্তানে যাওয়ার কথা আছে। তবে আমি সেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি সেখানে এসসিও-র একজন ভালো সদস্য হিসেবে যাচ্ছি। আমি খুবই ভদ্র একজন মানুষ। তাই সেখানে গিয়ে আমি ভদ্রতা দেখাব।' এদিকে রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, সফরের ২৪ ঘণ্টায় পাকিস্তানের সঙ্গে না হলেও অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন জয়শংকর। (আরও পড়ুন: 'SC যে জানে না, এমন নয়… তাই সন্দেহ', বকেয়া ডিএ শুনানি💮 নিয়ে বিস্ফো🦩রক মামলাকারী)
বিদেশ মন্ত্রক কী বলেছিল?
এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছিলেন, 'পাকিস্তানে আয়োজিত হতে চলা এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে যাবে ভারতীয় প্রতিনিধি দল। সেই দলের নেতৃত্বে থাকবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। আগামী ১৫ এবং ১৬ অক্টোব🌸র ইসলামাবাদে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।'
সম্প্রতি পাকিস্তানকে তোপ দেগেছিলেন জয়শংকর
এদিকে কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে ভারতে সন্ত্রাস চালানোর ছক নিয়ে ইসলামাবাদকে তোপ দেগেছিলেন এস জয়শংকর। গত ২৮ সেপ্টেম্বর আয়োজিত রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভায় পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, 'বহু দেশেই এমন অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে, যেগুলির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে থাকে না। ফলে ত🌜াদের পিছিয়ে পড়তে হয়। কিন্তু, এমন কিছু দেশও আছে, যারা স্বেচ্ছায় বিপর্যয় বেছে নেয়। যার অন্যতম প্রধান উদাহরণ হল, আমাদের প্রতিবেশী পাকিস্তান।' জয়শংকর সেদিন আরও বলেছিলেন, 'যখন এই ধরনের রাজনীতির ফলে সেই দেশের জনগণ ধর্মান্ধ হয়ে ওঠে, তখন কেবলমাত্র চরম মৌলবাদ এবং অন্য দেশে ছড়িয়ে দেওয়া সন্ত্রাসবাদের মাধ্যমেই সেই দেশের জিডিপি পরিমাপ করা যায়। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, অন্যদের ক্ষতি করার জন্য সন্ত্রাসের যে বীজ বপন করা হয়েছিল, তা তাদের নিজেদের সমাজকেই গিলে খাচ্ছে। ওরা চাইলে এর জন্য বাকি বিশ্বকে দোষারোপ করতেই পারে। কিন্তু, এটা আসলে ওদেরই কর্মফল।'