সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ গালওয়ান উপত্যকার ১৪ প্যাট্রোল পয়েন্টের কাছে ভারতীয় এবং চিনা সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল। তার ২৪ 💮ঘণ্টা পরও সেই এলাকায় ভারত এবং চিন সেনার উপস্থিতি ধরা পড়ল উপগ্রহ চিত্র বা স্যাটেলাইটে।
গালওয়ান সংঘর্ষের বিষয়ꦅে অবহিত এক আধিকারিক জানান, গত ৬ জুন সিনিয়র কম্যান্ডারদের বৈঠকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তার ভিত্তিতে ওই এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল চিনের। তিনি বলেন, 'কিন্তু ভারতীয় সেনার জওয়ানরা চিনা বাহিনীকে দেখতে পায়। যা সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন। তারা পিছিয়ে যায়নি এবং তাদের তাঁবু ও একটি নজরদারি পোস্ট আশপাশে ছিল।'
সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই এলাকার পূর্বে পাঁচ কিলোমিটার পিছিয়ে যাওয়ার কথা ছিল চিনা সেনার। গত সপ্তাহে তারা কিছুটা স🍒রে গিয়েছিল। কিন্তু সাময়িকভাবে যে জায়গাগুলি দখল করেছিল, সেগুলি নিতে আবাকও ফিরে আসে বলে জানান এক🌊 আধিকারিক।
সংখ্যার বিচারে ভারতের তুলনায় সেখানে ঢের এগিয়ে চিনা সেনা। ওই এলাকায় তাদের ২৫০-র বেশি ফৌজি মোতায়েন ছিল। সেখানে কর্নেল বি সন্তোষ বাবুর নেতৃত্বে মাত্র ৫০ জনের ভারতীয় সেন🃏ার একটি দল ১৪ প্যাট্রোল পয়েন্টের কাছে পৌঁছেছিল। সেখানেই সংঘর্ষ বেঁধেছিল।
মার্কিন সরকারের প্রাক্তন এক উপগ্রহ চিত্র বিশেষজ্ঞ ক্রিস বিগার্স জানান, ডোক൩লামে যে পরিমাণ সৈন্য সমাবেশ হয়েছিল, তার তুলনায় গালওয়ানে সেনার উপস্থিতি নগণ্য। সংবাদসংস্থা এপি-কে তিনি বলেন, ‘সামরিক মহড়া ছাড়া এরকম সৈন্য সমাবেশ আমি আগে কখনও দেখিনি।’
এক আধিকারিক জানা♏ন, 🐭সাত ঘণ্টার সংঘর্ষে দু'পক্ষই বাড়তি বাহিনীর গিয়েছিল। ১৪ প্যাট্রোল পয়েন্ট থেকে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তা নিকটের একটি নদীর তীরে অবস্থিত সরু পাহাড়ের দিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানেই হতাহত হয়েছিলেন জওয়ানরা। ওই সংঘর্ষে দু'পক্ষের মিলিয়ে ৫০০-র বেশি জওয়ান ছিলেন।