আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (আরবিআই) প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন যে মন্তব্য করেন, তা খারিজ করে দিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই)। ভারতের সর্ববৃহৎ রাষ্ট্রায়ত্ত𓄧 ব্যাঙ্কের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর যে মন্তব্য করেছেন, তা 🍌পক্ষপাতদুষ্ট। উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজন দাবি করেন যে 'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ'-র (অর্থাৎ আর্থিক বৃদ্ধির হার কম) দিকে এগোচ্ছে ভারত।
এসবিআইয়ের রিপোর্ট 'Ecowrap'-তে দাবি করা হয়েছে, কোনও ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে আর্থিক বৃদ্ধির হারꦯের ব্যাখ্যা করার বিষয়টি একেবারেই অনুচিত। সেই কাজ করলে ভুল ব্যাখ্যা করা হয়। সেইসঙ্গে এসবিআইয়ের রিপোর্টে (যে রিপোর্ট তৈরি করেছেন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সৌম্যকান্তি ঘোষ) দাবি করা হয়েছে, 'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ' নিয়ে ভার𒅌তের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর যে মন্তব্য করেছেন, তা পুরোপুরি পক্ষপাতমূলক।
সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর দাবি করেন, চলতি অর্থবর্ষের (২০২২-২৩ অর্থবর𒀰্ষ) তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের তরফে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে যে ছবিটা ধরা পড়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বেসরকারি ক্ষꦜেত্রে দুর্বল বিনিয়োগ, উচ্চ সুদের হার এবং বিশ্বব্যাপী ঝিমিয়ে পড়া আর্থিক বৃদ্ধির কারণে ‘বিপজ্জনকভাবে’ ভারতীয় অর্থনীতি 'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ'-র আছে বলে দাবি করেন আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর। যিনি একাধিক ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন।
'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ'-র অর্থ কী?
১৯৭৮ সালে অর্থনীতিবিদ রাজকৃষ্ণ 'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ' শব্দবন্ধের প্রবর্তন করেছিলেন। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত আর্থিক বৃদ্ধির হার যে ৩.৫ শতাংশ এবং🉐 চার শতাংশের মধ্যে ছিল, সেই বিষয়টি বোঝাতে 'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ' শব্দবন্ধের প্রবর্তন করেছিলেন অর্থনীতিবিদ। দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্সের প্রাক্তন লেকচারারা জানিয়েছিলেন, যদি আর্থিক বৃদ্ধির হার ধারাবাহিকভাবে ঢিমেগতির থাকে, তখন 'হিন্দু রেট অফ গ্রোথ' হচ্ছে বলে মনে করা হয়।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )