কাকা-ভাইপোর সংঘাতে এনসিপিতে ধরেছিল ফাটল। সেই ফাটল বেড়ে গিয়ে এনসিপির একাংশ সঙ্গে নিয়ে ভাইপো অজিত পাওয়ার যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি-শিবসেনার শিন্ডে শিবিরের ♕সরকারে। অন্যদিকে, কাকা শরদ পাওয়ার তাঁর নিজের প্রতিষ্ঠিত এনসিপিকে সঙ্গে নিয়ে মারাঠা রাজনীতিতে চলতে শুরু করেন। তবে এবার ভোটের আগে, এনসিপির প্রতীক ঘিরে এক আইনি মামলা চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলায় অজিত পাওয়ারকে ভোটে ঘড়ি চিহ্ন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে রয়েছে শর্ত।
বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে একটি নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নোটিসে বলা হয়েছে, এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী যেন সম্পূর্ণভাবে কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ মেনে চলে, ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করে ভোটে, সেক্ষেত্রে একটি ‘ডিসক্লেমার’ ব্যবহার করতে হবে অজিত পাওয়ারগোষ্ঠীক🌼ে। কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার ঘড়ি চিহ্ন ব্যবহার করতে পারবেন। তবে শর্ত হিসাব൲ে সমস্ত বিজ্ঞাপনের নিচে এবং প্যামফ্লেটে লিখতে হবে ‘বিষয়টি বিচারাধীন’। সুপ্রিম কোর্টে এদিন ৩ বিচারপতির একটি বেঞ্চ এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি সূর্যকান্তের নেতৃত্বে এই মামলার শুনানি হয়। কোর্ট জোর দিয়ে জানিয়েছে, এই নির্দেশ যেন অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়।
এর আগে, মহারাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনে অজিত-পক্ষ যাতে এনসিপির ঘড়ি প্রতীক ব্যবহার করতে না পারে, তার আবেদন জানিয়ে স𓆉ুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শরদ পাওয়ার। অজিতপক্ষ যাতে নতুন কোনও চিহ্ন বেছে নেন তারও আর্জি ছিল। এদিকে, শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর তরফে অভিযোগ ছিল, কোর্টের নির্দেশ মতো দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছেন না অজিত পাওয়াররা। সে🌸ই মামলাতেই অজিত পাওয়ারদের ঘড়ি চিহ্ন ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট, তবে রয়েছে ‘ডিসক্লেমার’ দেওয়ার শর্ত।
এর আগে এনসিপিতে ভাঙনের পর অজিত গোষ্ঠীর এমসিপিকে আসল এনসিপি হিসাবে চিহ্নিত করে নির্বাচন কমিশন। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শরদরা। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং কেভি বিশ্বনাথনকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ কমিশনের সেই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন নাকচ করে দেয়। ওই মামলায় কোর্ট জানিয়েছিল, সু🌊প্রিম কোর্ট পরবর্তী নির্দেশ ঘোষণ🌺া না করা পর্যন্ত অজিত গোষ্ঠীর হাতেই থাকবে ‘এনসিপি’ নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক ‘ঘড়ি’ ব্যবহারের অধিকার।