২ꦅ০১৫ সালে বাতিল হয়েছে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারা। অথচ এখনও তারই অধীনে ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। এই আবহে সুপ্রিম কোর্ট বুধবার সমস্ত রাজ্যের পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে যা🌳তে তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারায় কারও বিরুদ্ধে মামলা না দায়ের করা হয়। 'পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজ' নামে একটি এনজিওর দায়ের করা একটি রিট পিটিশনের শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেয় ভারতের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি অজয় রাস্তোগির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, 'হুমকি' বা 'আপত্তিকর' সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করার অভিযোগে গ্রেফতার করা যেত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬এ ধারার অধীনে। 🐻দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে ২০০৯ সালে ৬৬এ ধারা যোগ হয়েছিল। এর অপব্যবহার এবং অস্পষ্টতার উল্লেখ করে আইনটির বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তবে ২০১৫ সালের এক রায়ে মত প্রকাশের ও বাক 🅷স্বাধীনতার গুরুত্বকে সর্বোচ্চ বলে পর্যবেক্ষণ করে আদালত। ৬৬এ ধারা এই মৌলিক অধিকারের উপর প্রভাব ফেলে বলে জানায় আদালত। আইনটি বাতিল করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত ৬৬এ ধারাকে উপসংহারহীন এবং অসাংবিধানিক বলে অভিহিত করে। আইনটিকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয় এবং পর্যবেক্ষণে বলা হয়, এটি বাকস্বাধীনতার অধিকার, ভিন্ন মতের অধিকার, তথ্য জানার অধিকারকে আক্রমণ করছে।
এদিকে আবেদনকারী পিপলস ইউনিয়ন ফর সিভিল লিবার্টিজের দাবি, ৬৬এ ধারার অধীনে ꧒যাতে মামলা নথিভুক্ত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ জারি করুক শীর্ষ আদালত। ইন্টারনেট ফ্রিডম ফাউন্ডেশন এবং সিভিক ডেটা ল্যাবস-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, বাতিল করা আইনের অধীনেই গত ছয় বছরে ১,৩০৭টি নতুন মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রে এর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, মোট ৩৮১টি। এরপরেই রয়েছে ঝাড়খণ্ড(২৯১) এবং উত্তরপ্রদেশ(২৪৫)।