আচমকা কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবনীত সিং বিট্টু পাঞ্জাবের মুখ্✃যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সরকারি বাসভবনের সামনে পৌঁছন। তিনি ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে তুমুল হট্টগোল বেঁধে যায়। সেখানে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীরা তাঁকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। তখন মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ না করতে পেরে তিনি পেছনের ফটক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশের চেষ্টা শুরু করেন। এই ঘটনায় বিট্টুর নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধ্বস্তি বাঁধে। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ꦍে গিয়েছে পঞ্জাবে। এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর করে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ‘কেজরিওয়ালের পঞ্জাবের CM হওয়ার সম্ভাবনা নেই, ফের জল্পনা ওড়ালেন 𝓰ভগবন্ত মান
জানা যায়, এদিন বিট্টুর নিরাপত্তায় থাকা পাইলট গাড়ি মুখ্যমন্ত্রী🐻র বাসভবনের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেই সময় গাড়ির চালকের সঙ্গে চণ্ডীগড় পুলিশের তর্কাতর্কি হয়। এমনকী হাতাহাতিও হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা বিট্টুর নিরাপত্তা কর্মীদের ভিতরে প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুলিশের এই আচরণকে অগ্রহণযোগ্য ও লজ্জাজনক বলে উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভগবন্ত মান চণ্ডীগড় পুলিশের সমালোচনা করেছেন। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বিট্টু অভিযোগ করেন, জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে পরিচয় জানা সত্ত্বেও পুলিশ তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। মৌখিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে। ঘটনায় তিনি ডিজিপিকে ইমেলে একটি অভিযোগ করেন। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) উদয় পাল সিং সহ আরও দুজন পুলিশ আধিকারিক এবং তিনজন কনস্টেবলকে দায়ী করেন তিনি।
জানা যায়, লুধিয়ানা ও পাতিয়ালায় দুই ঘনিষ্ঠ সমর্থকের বিরুদ্ধে পঞ্জাব পুলিশ গ্রেফতারের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিট্টু বলেন, ‘গত বেশ কয়েকদিন ধরে আমি বারবার তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছি। কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা এফআইআরের তদন্তের জন্য আমি এখানে এসেছি।’ চণ্🦹ডীগড় পুলিশ জানিয়েছে, যে মন্ত্রীর এই প্রবেশের জন্য আগে থেকে কোনও অনুমতি চাওয়া হয়নি। পুলিশ বা মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ের কাছেও তাঁর সফর সম্পর্কে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছেন। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে অভিয♍োগ জানাবেন বলে জানান বিট্টু।