কর্ণাটক স্টেট ওপেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস বিদ্যাশঙ্করের নাম জড়াল যৌন কেলেঙ্কারিতে। সম্প্রতি মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের প্রাক্তন সদস্য কে মহাদেবু একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেন। মহাদেবু অভিযোগ করেছেন যে উপাচার্য বিদ্যাশঙ্কর বিশ্ববিদ🦂্যালয়ের একজন মহিলা কর্মচারীকে শোষণ করার জন্য তাঁর পদের অপব্যবহার করেছেন। প্রকাশিতꦺ অডিয়ো ক্লিপে নির্যাতিতার স্বামী এবং বিদ্যাশঙ্করের মধ্যে কথোপকথন রয়েছে বলে অভিযোগ।
মহাদেবুর অভিযোগ, ‘এই অডিয়ো ক্লিপটি প্রকাশের পরে বিদ্যাশঙ্কর যদি নিজের পদে বহাল থাকেন তবে আমাদের বুঝতে হবে যে তাঁর মধ্যে আত্মমর্যাদা বলে কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী, উচ্চশিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের উচিত অবিলম্বে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’ এদিকে অডিয়ো ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, এক মহিলাকে সেলফি পাঠাতে বলার জন্য উপাচার্যকে ত🎶িরস্কার করছেন এক ব্যক্তি (দাবি করা হচ্ছে, তিনি মহিলার স্বামী)। এদিকে সেই মহিলাকে একটি হিরের সেট নিতে বেঙ্গালুরুতেও নাকি আসতে বলেছিলেন উপাচার্য। নির্যাতিতার স্বামী উপার্যকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ১৫ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন।
এদিকে অডিয়ো ক্লিপে উপা♊চার্য বিদ্যাশঙ্করকে ক্ষমা চাইতে শোনা যায়। তখন নির্যাতিতার স্বামী বলেন, তাঁর স্ত্রী যদি উপাচার্যের কাছে গিয়ে থাকতেন, তাহলেও তাঁকে আটকানো উচিত ছিল বিদ্যাশঙ্করের। তা না করে বিদ্যাশঙ্কর পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এদিকে এই গোটা কেলেঙ্কারির কথা এমন একটি সময় প্রকাশ পেল যখন বিশ্বেশ্বরায়া টেকনলজিকাল💯 বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদের জন্য বিদ্যাশঙ্করের নাম নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল।
এদিকে এই অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করার জন্য ডাকা সাংবাদিক সম্মেলনে চরম নাটক দেখা যায়।🐻 মাইসোর প্রেস ক্লাবে ঢুকে পড়ে মহাদেবুকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন বিদ্যাশঙ্করের সমর্থকরা। পরে উপাচার্যের সমর্থকদের বের করে দেওয়া হয় প্রেস ক্লাব থেকে। পরে এই গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মহাদেবু।