শুক্রবার কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য নিজের মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন শশী থারুর। ‘গান্ধীপন্থী’ মল্লিকার্জুন খড়গের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন শশী থারুর। আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে ‘জি-২৩’ গোষ্ঠীর শশী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আরও এক ‘𝕴বিদ্রোহী’ মণীশ তিওয়ারি।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কথা স্মরণ করে মণীশ তিওয়ারি টুইট বার্๊তায় লেখেন, ‘নেতৃত্ব, আদর্শগত স্বচ্ছতা, নীতি হল একটি রাজনৈতিক দলের স্তম্ভ। সাম্প্রতিক সময়ে যে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে তা ভুলে সময় এসেছে সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার। কংগ্রেসের সভাপতিত্ব নিয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বাণীকে মনে করতে চাই আমি।’ এরপর তিনি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের একটি লেখা পোস্ট করেন।
প্রণববাবুর কথায়, ‘কিছু পদ চাওয়া উচিত নয়। সেই পদগুলি যেন যোগ্য ব্যক্তির কাছে দেওয়া হয়। এমনই একটি 🎀পদ হল কংগ্রেস সভাপতিত্ব। কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার জন্য একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানোর পুরানো রীতি রয়েছে। পরব🅘র্তী বার্ষিক অধিবেশন পর্যন্ত এই পদে থাকা ব্যক্তিকে অসাধারণ কাজ করতে হয়। আমার চিরকালের প্রচেষ্টা, কংগ্রেস সভাপতির পদে যেন কেউ সর্বসম্মতভাবে নির্বাচিত হন।’
এদিকে আজই সকালে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সাম🥂িল হন রাজ্♉যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে। এরপরই জানা যায়, পূর্ব ঘোষণা মতো নিজের মনোনয়ন পত্র পেশ করবেন না দিগ্বিজয় সিং। প্রসঙ্গত, গান্ধী ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত হলেও দিগ্বিজয়কে নিয়ে সংশয় ছিল বহু নেতার মনেই। অনেক ক্ষেত্রেই আলটপকা মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ানো দিগ্বিজয়ের স্বভাব। এই পরিস্থিতিতে সামনে আসে মল্লিকার্জুন খড়গের নাম। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়গে গান্ধীদের ‘সমর্থনে’ মনোনয়ন পেশ করবেন আজ। দিগ্বিজয় এই লড়াই থেকে সরে দাঁড়ান এবং খড়গের প্রোপোজার হওয়ার ঘোষণা করেন।