গতকালই ইকোনমিক টাইমসে 'শেখ হাসিনার বিবৃতি' দাবি করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে দাবি করা হয়, নিজের সরকারের পতনের জন্যে আমেরিকাকে দায়ী করছেন হাসিনা। সেখানে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ওপর মার্কিন 'নজরের' কথা উল্লেখ করে হাসিনার নামে তা উদ্ধৃত করা হয়েছিল। তবে এবার গতরাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে হাসিনা পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করলেন, তাঁর মায়ের নাম করে একটি সংবাদপত্রে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, ত🍨া সম্পূর্ণ ভাবে ভুয়ো।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় নিজের পোস্টে লেখেন, 'সম্প্রতি একটি সংবাদপত্রে আমার মায়ের পদত্যাগ-বার্তা দাবি করে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ব💎িকৃত। আমি একটু আগেই মায়ের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা তার পরে ওই ধরনের কোনও বার্তা দেননি।' প্রসঙ্গত, এর আগে গতকাল ইকোনমিক টাইমসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবি করা হয়, হাসিনা ঘনিষ্ঠদের তরফ থেকে তারা হাসিনার 'বিদায়ী বিবৃতি' হাতে পেয়েছেন। সেই বিবৃতি তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।
ইকোনমিক টাইমসে সেই বিবৃতিতে হাসিনাকে উদ্ধৃত করে কী বলা হয়েছে? সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, শেখ হাসিনা নাকি বলেন, 'আমি পদত্যাগ করেছি যাতে দেশে আরও মৃত্যুমিছিল না হয়। ছাত্রদের মৃতদেহের ওপর ভর করেই ক্ষমতা দখল করতে চাইছিল বিএনপি। তবে আমি সেটা হতে দিতে পারতাম না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়াই। আমি যদি সেন্ট মার্টিন দ্বীপটি ছেড়ে দিতাম, তাহলে আজও আমি ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। আমেরিকাকে যদি বঙ্গোপসাগরে ছড়ি ঘোরাতে দিতাম, তাহলে আজও আমি ক্ষমতায় থাকতাম।' হাসিনা আরও বলেন, 'আমি যদি এখনও দেশে থাকতাম, তাহলে আরও প্রাণহানি ঘটত। দেশের আরও সম্♉পদ নষ্ট করা হত। তাই আমি দেশ ছাড়ার এই অত্যন্ত কঠিন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। আমি বাংলাদেশের নেতা হয়েছিলাম কারণ আপারা আমাকে বেছে নিয়েছিলেন। আপনারাই আমার শক্তি ছিলেন। তবে আজ যখন শুনতে পারছি যে আমার দলের নেতারা আক্রান্ত, আমার হৃদয় তখন কাঁদে। আল্লাহর দোয়ায় আমি শীঘ্রই বাংলাদেশে ফিরব। আওয়ামি লিগ বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছꦗে। বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্যে আমি চিরকাল প্রার্থনা রতে থাকব। আর আমি দেশের শিক্ষার্থীদের কখনও রাজাকার বলিনি। আমার ভিডিয়ো ফের চালিয়ে দেখা হোক। আমার কথা ভুল ভাবে পরিবেশন করা হয়েছে।'