এ🍬ক দেখাতেই প্রেম হয়ে গিয়েছিল, ১০ বছর একসঙ্গে থেকেছেন। বিয়ে করেননি ঠিকই। কিন্তু এর জন্য ꦺভালোবাসায় কোনও ঘাটতি ছিল না। একে অপরের পাশে থেকেছেন। কিন্তু হঠাৎ এমন কিছু হল, সম্পত্তির লোভ দুজনের ভালোবাসার মাঝে দেওয়াল হয়ে দাঁড়াল। লোভ এতটাই চরমে পৌঁছে গেল যে প্রেমিককে মেরে ফেলার আগেই দুইবারও ভাবলেন না প্রেমিকা। তারপর যা হল, চমকে দেওয়ার মতো।
আরও পড়ুন: (Lahore Book Fair: লাহোর বইমেলায় বিক্রি হল ৮০০ প্লেট বিরিয়ান🌟ি, বইয়ের খদ্দের মাꦆত্র ৩৫)
ঠিক কী ঘটেছিল
৩৮ বছর বয়সী সুন্দরী ইনা কেনোয়ার, ৪১ বছর বয়সী স্টিভেন এডওয়ার্ড রিলির জীবনের সাংঘাতিক গল্প এটি। প্রথমবারের মতো একে অপরকে দেখতেই প্রেম শুরু হয়েছিল তাঁদের। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক দিন দিন আরও গভীর হয়েಌ উঠছিল। কিন্তু এরই মধ্যে, একদিন স্টিভেন একজনের কাছ থেকে জানতে পারেন যে তাঁর নামে প্রায় ৩০ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ২৫২ কোটি টাকার পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। তা জেনে স্বাভাবিকভাবেই স্টিভেন খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এই গোপন কথাটি সে ইনাকে জানাননি।
কিছুদিন পর ইনা নিজেই স্টিভেনের এক বন্ধুর কাছ থেকে এই উইলের কথা জানতে পারেন। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হল, এই বন্ধুই ইনাকে বলেছিলেন যে স্টিভেন সম্পদটা পাওয়ার পরেই ইনাকে ছেড়ে চলে যাবেন। আর তা শুনেই রেগে আগুন হয়ে যান ইনা। লোভ জাগে মনে। স্টিভেনের সম্পদ হাতানোর জন্য বিপজ্জনক পরিকল্পনা 💎করেন। স্টিভেনকে পথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর, ২০২৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, স্টিভেন তাঁর উইলের বিষয়ে একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার ভেবেছিলেন। সেই জন্য এদিন বন্ধুদের নিয়ে বাড়ি আসেন। এদিকে ইনা, তখন নিজের প্ল্যান বস্তুত করে বাড়িতে বসে। স্টিভেনের জন্য মিষ্টি চা বানিয়ে তাতে বিষ মিশিয়ে ꦑদেন ইনা। স্টিভেনও সেই চা পান করার সঙ্গে সঙ্গে, একটু একটু করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে থাকেন। বন্ধুরা হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও পারেননি। ইনা দাবি করেন যে স্টিভেন গত রাতে প্রচুর অ্যালকোহল পান করেছিলেন, তাই হিট স্ট্রোক হয়েছে তাঁর। স্টিভেনও অসুস্থ বোধ করলেও, চিকিৎসার কথা ভাবেননি। এরপর বুদ্ধি করে স্টিভেনকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান ইনা।
পরের দিন স্টিভেনের বন্ধু তাঁর খোঁজ নিতে এলে, ইনা মিথ্যে বলেন। কাছাকাছি একটি ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়ার সময়ই স্টিভেনের অবস্থার অবনতি হয়🧜 বলে জানান তিনি। এরপর ২০২৩ সালের ৫ সেপ্টেম্বর মারা যান স্টিভেন। ইনা তারপর মেডিকেল ইমার্জেন্সি নম্বরে ফোন করে জানান যে তাঁর স্বামী বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। মেডিক্যাল টিম এসে স্টিভেনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান যে স্টিভেন মারা গিয়েছেন।
ইনার পর🐓িকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিকঠাকই এগোচ্ছিল। পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন যে স্টিভেনের মৃত্যুর পরে, সবাইকে বলবেন যে তাঁরা বিবাহিত। তারপরেই ইনা স্টিভেনের বিপুল সম্পদের উত্তরাধিকারী হবেন। কিন্তু এই পরিকল্পনাটা শেষমেশ মাঠে মারা যায় ইনার। ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যায় ময়না তদন্তের রিপোর্টেই।
আরও পড়ুন: (ঘরের বাতাস স🍎হজেই দূষণমুক🥂্ত করুন, মেনে চলুন এই ৪টি রাস্তা)
পুরো খেলাটাই পাল্টে যায় এভাবে
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায় স্টিভেনকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে। ইনা তাঁর বন্ধুদের কাছে অ্যালকোহলের গল্প শোনালেও স্টিভেনের শরীরে অ্যালকোহলের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এর পর পুলিশ স্টিভেনের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে, ইনার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশির সময় বাড়ির ভিতরে সব🧸ুজ তরল ভর্তি বোতল সহ বেশ কিছু সন্দেহজনক জিনিসও পাওয়া যায়। সন্দেহ গিয়ে পড়ে ইনার উপর। পুলিশ ইনাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই, ইনা অপরাধ স্বীকার করেন।
এরপর ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর ইনাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় এক বছর ধরে চলা দী🅰র্ঘ শুনানির পর, ২০২৪ সালে এসে বিচার পান স্টিভেন। ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর, আদালত ইনাকে স্টিভেনের হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত ꦡকরে। ২৫ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
আদালতে, পরিবারের সদস্যরা ইনাকে উপর তাঁদ𒆙ের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রিলির বোন, স্টেফানি গঞ্জালেজ, সমালোচনা করে বলেছেন, 'আমাদের কাছ থেকে এত গুরুত্বপূর্ণ একজনকে কেড়ে নেওয়া হল। এটা বেদনাদায়ক।' স্টিভেনের এক ছেলে রয়েছে। নাম রায়ান রিলি। বাবার মৃত্যু তাঁকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। এ সম্পর্কে রায়ান বলেছেন, লোভের বশে এতটা স্বার্থপরতা সম্ভব।আদালতের নির্দেশ মতো, স্টিভেনের পরিবারকে ৩,৪৫৫ ডলারের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ইনাকে।