মেয়ে শিনা বোরাকে খুন করার অভিযোগে প্রায় সাত বছর ধরে জেলের অন্দরে দিন কাটিয়েছিলেন মা ইন্দ্রাণী মুখার্জি। এরপর প্রায় ১ বছর ধরে তিনি জেলের বাইরে। এবা♔র ইনস্টা🌟গ্রামে তিনি একটি পোস্ট করেছেন। খবর এনডিটিভি সূত্রে। মনে করা হচ্ছে এটা তাঁরই ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল। সেখানে তিনি জেলের দিনগুলোর ভয়াবহতার কথা লিখেছেন। সেই সঙ্গেই কীভাবে সহ বন্দিরা তাঁর পাশে থাকতেন সেকথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
😼সেখানে লেখা হয়েছে, সেই বন্দি জীবনে মহিলারা আমাকে সত্যিকারের সমর্থন করেছিলেন। বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলেন।
লম্বা লিখেছেন তিনি। ‘গতকাল সারারাত জেগে ছিলাম। ভাবছিলাম বাইকুল্লা জেলের সেই করিডরের কথা। কত নিরাপরাধ মহিলা জেলবন্দি রয়েছেন। যে দমবন্ধ পরিস্থিতি হচ্ছিল জেলে কোনও কিছু না করে সেটা যেন কারোর🌞 না হয়, কিন্তু সেই অন্ধকারময়ꦕ দিনেই আমি ভেতরের শান্তি পেয়েছিলাম।’
তিনি লিখেছেন' বাইরের পৃথিবীতে মানুষ তার আবেগকে লুকিয়ে রাখেন। কিন্তু জেলের গরাদের ভেতরে দেখেছিলাম মানুষ কীভাবে সত্যিকারের আনন্দে মাতেন। চোখের সামনে দেখেছি বোনের মতো পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ওরা। মন থেকে পাশে থেকেছেন।আমি ওখান✨েই সত্যের সন্ধান পেয়েছি।' আবেগভরা পোস্ট করেছেন ইন্দ্রানী মুখার্জি। INX মিডিয়ার সিইও ছিলেন তিনি।
তবে বর্তমানে তার মেয়ের মৃত্যুর ঘটনার দ্রুত শুনানি চাইছেন। তিনি জানিয়েছেন, এভ♚াবে ট্রায়ালে দেরি হলে তিনি ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে পারছেন না। এমনকী দেশের বাইরেও তিনি ইচ্ছা মতো যেতে পারছেন না। প্রসঙ্গত শিনা বোরা ছিলেন ইন্দ্রাণীর অপরপক্ষের কন্য়া। প্রাক্তন মিডিয়া কর্তা পিটার মুখার্জিকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তবে দুজনেই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।
ঠিক কী হয়েছিল শিনা বোরা হত্য়াকাণ্ড?
২০১২ সাল। ওই বছরের ২৫ এপ্রিল গাড়ির মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল এক যুবতীকে। দ🔯াবি করা হয়েছিল সেই সময় ইন্দ্রাণী প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্না ও গাড়ি চালক শ্যাম রাইয়ের সহায়তায় রায়গড়ের জঙ্গলে শিনার দেহ পুড়িয়ে মাটি চাপা দিয়েছিলেন। শিনা ছিল ইন্দ্রাণী ও তাঁর সঙ্গী সিদ্ধার্থ দাসের মেয়ে। তবে পরবর্তী সময়ে ইন্দ্রাণী শিনাকে নিজের বোন হিসাবে বিভিন্ন জায়গায় পরিচয় দিতেন।
ত🦩বে ইন্দ্রাণীর তৃতীয় স্বামী পিটার মুখোপাধ্য়ায়ের ছেলে রাহুল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে শিনার সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি মা ইন্দ্রাণী। এন൲িয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়। এরপরই শিনাকে খুন করে, পুড়িয়ে, পুঁতে ফেলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে ইন্দ্রাণী বার বারই দাবি করেছেন শিনা বিদেশে পড়াশোনা করে। সে বেঁচে আছে।
এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, শিনা🦩 কাশ্মীরে রয়েছে। সেখানে নাকি তাকে দেখা গিয়েছে। এরপর তিনি দাবি করছিলেন শিনাকে দেখা গিয়েছে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে। তবে এবার সেই ইন্দ্রাণী জেলের ভেতরের সেই কঠিন দিনগুলোর কথা স্মরণ করলেন।