এবার ভারতেও থাবা বসাল করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি। ব্রিট🦹েন-ফেরত ছ'জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ভারতের জেনোমিক্স কনসর্টিয়াম ল্যাবের প্রাথমিক পরীক্ষায় তাঁদের শরীরে করোনার নয়া প্রজাতির হদিশ মিলেছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ব্রিটেন ফেরত মোট ছ'জনের করোনাভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদের শরীরে ব্রিটেনের নয়া করোনাভাইরাস প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের তিনজন বেঙ্গালুরুর এনআইএমএইচএএনএস, দ💃ু'জন হায়দরাবাদের সিসিএমবি এবং পুণের এনআইভিতে একজন আছেন।’ সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের করো🍸না কেন্দ্রের পৃথক রুমে তাঁদের নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নিভৃতবাসে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে সহযাত্রী, পরিবারের লোকজন এবং অন্যান্য খোঁজ চালানো হচ্ছে। অন্যান্য প্রজাতির জিনের সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে।
লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন এবং ট্রপিকাল মেডিসিনের সেন্টার ফ🦄র ম্যাথেমেটিকাল মডেলিং অফ ইনফেকশাস ডিজিজের গবেষণা অনুযায়ী, অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় করোনার এই নয়া প্রজাতি ৫৬ শতাংশ বেশি সংক্রামক। তার ফলে আগামী নয়া বছরে আরও সংখ্যক বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভরতি করতে হতে পারে। বাড়তে পারে প্রাণহানির সংখ্যা। তবে তার ফলে যে মোটামুটি একইরকমের রোগ হয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনও প্রমাণ মেলেনি।
ব্রিটেন সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, আপাতত করোনার যে প্রজাতিগুলি সক্রিয় আছে, সেগুলির তুলনায় নয়া প্রজাতি ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। গত ১৯ ডিসেম্বর ব্রিটেনের মুখ্য বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা প্যাট্রিক ভ্যালেন্স জানিয়েছিলেন, করোনাভাইরাস যে প্রোটিন তৈরি করে, তাতে প্রভাব ಌফেলতে পারে সেই নয়া ♔প্রজাতি।
সেই পরিস্থিতিতে গত ২৩ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন থেকে আগত সমস্ত বিমান স্থগিত রেখেছে ভারত। তার আগে গত ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্রিটেন🌱 থেকে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ৩৩,০০০ জন যাত্রী এসেছেন। তাঁদের সবাইয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং করোনা আক্রান্ত কিনা, সেজন্য আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হচ্▨ছে। এখনও পর্যন্ত যতগুলি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে ১১৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। জিন সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ওই ১১৪ জনের নমুনা জেনোমিক্স কনসর্টিয়াম ল্যাবের ১০ টি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, ‘পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। নজরদারি, কনটেনমেন্ট, নমুনা এবং জেনোমিক্স কনসর্টিয়াম ল্যাবে নমুনা পাঠানোর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য রাজ্যগুলিকে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’