শুধু আমেরিকা নয়, লন্ডন থেকে দিল্লি, সব জায়গাই যে সন্ত্রাসের বীজ বুনেছিলেন ইরানের পদস্থ সেনাকর্তা কাসিম সোলেমানি, শুক𝓀্রবার তা সাফ করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার সকালে জানা যায় যে মার্কিনি হানায় বাগদাদে মারা গিয়ไেছেন ইরানের সোলেমানি। তাঁকে একনম্বর সন্ত্রাসবাদী হিসাবে অ্যাখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন যে যুদ্ধ বন্ধ করার জন্যই মারা হয়েছে এই ইরানি সেনাকর্তাকে।
ট্রাম্প বলেন মার্কিন সেনা ও রাষ্ট্রদূতদের ওপর বড়সড় হামলার ছক কষছিল সোলেমানি। এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরেই পশ্চিম এশিয়ায় অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পেন্টাগন। তবে ট্রাম্পের ♒দাবি, সোলেমানির মৃত্যুতে যুদ্ধ নতুন করে লাগবে না।
তবে দিল্লিতে ২০১২ সালে এক বোমা বিস্ফোরণে যে ইরানি নেতার হাত ছিল, এদিন সেই তথ্য ফাঁস করেন ট্রাম্প। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে এক ইজরায়েলি ডিপ্লোম্যাটের গাড়িতে বোমা বিস্ফারণ হয়। সেইꦛ ডিপ্লোম্যাটের স্ত্রী তখন গাড়িটি করে বাচ্চাদের স꧅্কুল থেকে নিতে যাচ্ছিলেন। বিস্ফোরণে কেউ মারা যাননি। একই দিন ও তার পরবর্তী দিনে বিশ্বের অন্যান্য স্থানেও আক্রান্ত হন ইজরায়েলি ডিপ্লোম্যাটরা। এই সব আক্রমণের পিছনে ইরানের হাত আছে বলে জানায় ইজরায়েল।
ভারত সরকার যদিও প্রকাশ্যে পুরোনো বন্ধু ইরানকে দোষ দেয়নি, তবে সূত্রের খবর, ইরানি প্রশাসনকে এই নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিল নয়াদিল্লি। কিছুদিন বাদে এই বিস্ফোরণে জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। সেই ব্যক্তি ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের পাঁচ সদস্যের মডিউলের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তারা ইরানিয়ান বিজ্ঞানীদের👍 হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইজরায়েলি দূতাবাসের সদস্যদের টার্গেট করছিল। সেই সূত্রেই দিল্লিতেও ইজরায়েলিদের ওপর আক্রমণ করে ইরান𝔉ের আইরজিসি। তখনও সেই আরজিসির প্রধান ছিলেন সোলেমানি, যাকে ড্রোন স্ট্রাইকে খতম করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
চাবার পোর্ট, অপরিশোধিত তেল আমদানি সহ বিভিন্ন বিষয়ের কারণে ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ইরানের। তাই এই বিস্ফোরণ নিয়ে অন্তত প্রকাশ্যে তেমন জলঘোলা করতে চায়নি নয়াদিল্লি। কিন্তু এবার ইরানের ভূমিকার বিষয় হাটে হাঁড়ি ভেঙে দিলেন ডোনাল্ড ট্র༺াম্প। কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার মুখে পড়ল ভারত।