সদ্য ইউক্রেন সফরে গিয়ে সেখানের রাজধানী কিয়েভের ‘ওয়েসিস অফ পিস পার্ক’-এ পৌঁছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে গান্ধী মূর্তিতে তিনি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন🌌 করেন। মোদীর নিরাপত্তায় সেখানে মোতায়েন ছিল এসপিজি। এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের ওই পার্কে মোদীকে দেওয়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে দেখা যায় , এসপিজি বুলেট রেজিসটেন্ট শিল্ডের আচ্ছাদন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় প্রধানমন্ত্রীক💟ে। হঠাৎ কেন বুলেট প্রুফ শিল্ডের আচ্ছাদন ব্যবহৃত হল? কোনও কি আশঙ্কা ছিল?
ইউক্রেনের কিয়েভের পিস পার্কে মোদীর নিরাপত্তায় ওই দিন উপস্থিত ছিলেন খোদ এসপিজির ডিরেক্টর অলোক শর্মা। অন্তত ৬০ জন এসপিজি কমান্ডো সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডিরেক্টর অলোক শর্মা। এর আগে, ইউক্রেনে প্রবাসী ভারতীয়দের তরফে প্রধানমন্ত্রীর টিমকে জানানো হয়, যে ইউক্রেনে কীভাবে ভারত বিরোধী মনোভাব বাড়ছে। রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠতা ঘিরে এই মনোভাব ইউক্রেনে রয়েছে বলে খবর ছিল। মূলত, গত মাসে রাশিয়ায় মোদীর সফরের পর থেকে সেই ভারত বিরোধী মনোভাব মাথাচাড়া দিচ্ছে ইউক্রেনে বলে জানানো হয়। হিন্দুস্তান টাইমসের বিশিষ্ট সাংবাদিক শিশির গুপ্তর রিপোর্টে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এরপরই মহাত্মা গান্ধীর মূর্তির কাছে মোদীর কর্মসূচি ঘিরে এসপিজির 𓃲কড়া নিরাপত্তা দেখা যায়। ভারতীয় প্রবাসীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের সময়, এটি জানানো হয়েছিল যে ভারতীয়রা সেদেশে একটি কঠিন সময়ের মুখোমুখি হচ্ছেন, কারণ ইউক্রেনীয়রা পুতিন এবং রাশিয়ার পাশে থাকার জন্য ভারতীয়দের দোষারোপ করছেন। এরপরই কিয়েভে সাত ঘণ্টার সফরে মোদীর নিরাপত্তা ঘিরে এসপিজি অ্যালার্টে ছিল। যাতে মোদীকে ঘিরে কোনও স্নিপার হামলা না হয়, তার জন্য ছিল কিয়েভের ওই পিস পার্কে মোদীকে ঘিরে বুলেট রোখার ব্যবস্থা সম্পন্ন বুলেট রেজিসটেন্ট শিল্ড। গোটা এলাকা ছিল নিরাপত্তা কর্মীদের কড়া প্রহরায়।
উল্লেখ্য, এরপর কিয়েভে ৭ ঘণ🎀্টার কর্মসূচি সম্পন্ন হওয়ার পর পোল্যান্ডের উদ্দেশে ট্রেনে রওনা হন মোদী। উল্লেখ্য, পোল্যান্ড থেকে মোদীর বিমান রয়েছে নয়া দিল্লির উদ্দেশে। এই গোটা সফরে ইউক্রেনে মোদীর পা রাখার ঘটনা, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। মোদীর ইউক্রেন সফরে কৃষি, মেডিসিন সহ ৪ ক্ষেত্রে চ💖ুক্তিবদ্ধ হয়েছে ভারত ও ইউক্রেন।