সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক সময় আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করে ভারতীয় সীমান্তে চলে আসেন শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীরা। তবে সে ক্ষেত্রে ভারতীয় নৌবাহিনী শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীদের সতর্ক করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু, সাম্প্রতিক সময়🌸ে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের প্রতি শ্রীলঙ্কার কড়া মনোভাব বেড়েই চলেছে। সেক্𒁃ষেত্রে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের গ্রেফতার, জেল, অসম্মান করার পাশাপাশি এবং কোটি কোটি টাকা জরিমানা করছে শ্রীলঙ্কা। ফের ভারতীয় মৎস্যজীবীদের কোটি কোটি টাকা জরিমানা করল শ্রীলঙ্কার আদালত। বুধবার শ্রীলঙ্কার আদালত ৪৫ জন ভারতীয় মৎসজীবীকে ২.৭৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে। আদালতের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছেন মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন: মাছ ধরতে গꦕিয়ে বাংলাদꦬেশে বেআইনি প্রবেশ, ধৃত ঝড়খালির ৪ মৎসজীবী
এদিন যে ৪৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে তার মধ্যে ৩৫ জন মৎসজীবী নৌকায় করে এবং ১০ পাওয়ার বোটে মাছ ধরতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার নৌ বাহিনী হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, গত ৮ অগস্ট শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী রামেশ্বরমের কাছে পাম্পান ফিশিং বন্দর থেকে সমুদ্রে যাওয়া ৪টি 🥀ভারতীয় মৎস্যজীবীদের নৌকা আটক করে। তাতে মোট ৩৫ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। অভিযোগ, তারা সীমান্ত অতিক্রম করে শ্রীলঙ্কার সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরে ৩৫ জনকে দেশের পুত্তলাম ওয়ারিয়াপোলা জেলে বন্দি করা হয়। তাদের জেল হেফাজত শেষ হওয়ার পর গতকাল পুত্তলাম আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তামিলনাড়ুর ওই মৎস্যজীবীদের মামলার শুনানি করেন। তাদের প্রত্যেককে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ১০ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন। এই জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলেও আদেশ দেন বিচারক।
একইভাবে তুতিকোরিন জেলার দারুওয়াইকুলাম থেকে ১০ জন মৎস্যজীবীকে পুত্তলাম আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তাদেরকেও একই অভিযোগে গ্রেফতার করেছিল শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী। এই ১০ জনের প্রত্যেককে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ৩৫ লাখ টাকা করলে জরিমানা করা হয়েছে। এই জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে তাদের আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব মিলিয়ে একইদিনে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায় ১০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে ভারতীয় মৎস্যজীবীদের, ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২.৭৫ কোটি টাকা। এনিয়ে তামিলনাড়ুর মৎস্যজীবীদের স্বজনদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতীয় মৎস্যজীবীদের প্রতি শ্রীলঙ্কার কড়া মনোভাব নিয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমꦯন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।