ক্রমশ চাপ বাড়ছিল। তোপ দাগতে শুরু করেছিলেন সনৎ জয়সূর্য, মাহেলা জয়বর্ধ♑নে এবং কুমার সাঙ্গাকারার মতো শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার ইস্তফা দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষ। এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই।
সোমবার কলম্বোয় রাষ্ট্রপতির বাসভবনের বাইরে সরকার-বিরোধীদের উপর হামলা চালায় রাজাপক্ষদের সমর্থকরা। সংবাদসংস্থা এএফ🐷পির প্রতিনিধির বয়ান অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষ, রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষের সমর্থকরা নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়।
শ্রীলঙ্কায় সংওকট শুরুর পর থেকে একাধিক সংঘর্ষ হলেও সোমবারের ঘটনা সবথেকে ভয়াবহ ছিল। আহত হন প্রচুর মানুষ। টিয়ার গ্যাস চালায় পুলিশ। ব্যবহার করা হয় জলকামান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলম্বোর কার্ফু জারি করা হয়। যা পুরো দ্বীপরাষ্ট্রেই কার্যকর করে🤪ছে সরকার।
সেই সংঘর্ষের মধ্যে ‘সাধারণ মানুষকে’ শান্ত থাকার আর্জি জানান প্রধানমন্ত্রী রাজ꧟াপক্ষ (সেইসময় ছিলেন)। সেই টুইটই রিটুইট করে রাজাপক্ষদের আক্রমণ শানান শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন ক্রিকেটার জয়বর্ধনে। তিনি বলেন, 'আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে এই গুন্ডারা জড়ো হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ও নিরীহ সরকার-বিরোধী আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছি। এটা কীভাবে হতে পারে?' একইসুরে রাজস্থান রয়্যালসের ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট এবং হেড কোচ সাঙ্গাকারা বলেন, 'আপনার সমর্থকরাই একমাত্র হিংসা ছড়িয়েছে - গুন্ডা। যারা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভকারীদের উপর হামলার আগে আপনার কার্যালয়ে গিয়েছিল।'
শ্রীলঙ্কায় কী অবস্থা?
গত কয়েকমাস ধরে চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছেন শ্রীলঙ্কার মানুষ। আকাল দেখা দিয়েছে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রীর। দিনের অধিকাংশ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীয় দাম লাগামছাড়া হয়ে গিয়꧃েছে। ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এতটা ভয়ঙ্কর অবস্থার মুখে পড়তে হয়নি ২.২ কোটি জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশকে। সেই পরিস্থিতিতে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। সেই অচলাবস্থা এখনও ক𓂃াটেনি।