অর্থনৈ𓆏তিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে তুরস্কের। সোমবার পতন হয়েছে তুর্কি মুদ্রা লিরার। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোগানের একটি মন্তব্যেই যেন ঝড় বয়ে গিয়েছে সেই দেশে। কী সেই মন্তব্য?
'ইসলামে বলা হয়েছে কম সুদ নিতে বা একেবারেই সুদ না নিতে। তাই আমি সুদের হার বাড়াব না,'🧸 গত সোমবার এক ভাষণে বলেন এরদোগান। এরদোগানের এই বক্তব্যের পরেই তুরস্কের ডলা🌠রের প্রেক্ষিতে প্রায় ৫ শতাংশ কমেছে জাতীয় মুদ্রা লিরা।
ভাষণে এরদোযꦓ়ান বলেন, 'মানুষ অভিযোগ করেন যে আমরা সুদের হার কমিয়ে রাখছি। তাঁদেরকে বলি, এ ছাড়া আমার কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না। আমি একজন মুসলিম। তা🌸ই ইসলামের শিক্ষার অধীনে কাজ করে যাব।'
তিন মাসে লিরার বৃহত্তম পতন
টানা পাঁচ দিন ধরে লিরার পতন হয়েছে। সোমবার, এশিয়ান বাণিজ্যে লিরা ৫ শতাংশ কমেছে এবং এর মূল্য ডলার প্রতি ১৭.৬২৪ এ পৌঁছেছে। গত তিন মাসে লিরা তার💎 অর্ধেক মূল্য হারিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল, এই তিন মাসে এত বড় পতন বিশ্বের কোনও দেশের মুদ্রার ইতিহাসে নেই।
এরদোগান অতীতেও ইসলামকে অবলম্বন করে এগিয়েছেন
এই যে প্রথম প্রেস✃িডেন্ট এরদোগানের ধর্মবিশ্বাসღের কারণে তুরস্কের অর্থনীতি টলে গিয়েছে, তা নয়। অতীতে তিনি বলেছিলেন যে ইসলাম মুসলমানদের ঋণের টাকায় সুদ নিতে নিষেধ করেছে।
তাঁর দাবি, তুরস্কের ওপর কিছু দেশের অর্থꩵনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কারণেই লিরার মূল্য কমছে। তুরস্ক তার অর্থনৈতিক নীতি পরিবর্তন করবে না বলেও তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, এরদোগানের নীতির কারণে চলতি বছর ডলারের বিপরীতে লিরার মূল্য ৫৭ শতাংশ কমেছে।