সেনা বনাম আধাসামরিক বাহিনীর লড়াইের তাপ আরও বাড়ছে সুদানে। এই গৃহযুদ্ধে মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। রাষ্ট্রসংধের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুদানে এখনও পর্যন্ত ২০০ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন এই সংঘর্ষে। এদিকে জখম হয়েছেন প্রায় ১৮০০ জন। এদিকে এই সহিংস সংঘর্ষের মধ্যেই সেই দেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত আইদান ও'হারার ওপর হামলা করা হয়। খার্তুমে তাঁর বাড়িতে ঢুকে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ছবি ও ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, খার্তুমের রাস্তায় অনেক মৃতদ🉐েহ পড়ে। এদিকে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানে এখনও অনেক ভারতীয় আটকে। রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধুমাত্র কর্ণাটকেরই ৩১ জন আটকে রয়েছে সুদানে।
উল্লেখ্য, শনিবার সুদানে সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে সেদেশের আধাসামরিক বাহিনীর। এই সংঘর্ষে গতকাল পর্যন্ত তিনজন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেদেশের চিকিৎসক ইউনিয়ন। খারতুম বিমানবন্দরেও এক সাধারণ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে গৃহযুদ্ধের মাঝে আধা সামরিক বাহিনী দাবি করে, বিমানবন্দর এবং রাষ্ট্রপতি ভবন দখল করেছে তারা। যদিও সেনা সেই দাবি নাকচ করে দেয়। জানা গিয়েছে, এই সংঘর্ষের মূলে রয়েছে সামরিক নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান এবং তাঁর অধীনস্থ আধাসামরিক কম💎ান্ডার মহম্মদ হামদান দাগলোর বিবাদ। আধাসামরিক বাহিনীর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সকে (আরএসএফ) সেনার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া নিয়ে এই বিবাদ শুরু হয় বিগত কয়েক সপ্তাহ আগে। সেই বিবাদের জেরেই শনিবার থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে বন্দুক তুলে নিয়েছে সেনা ও আধাসামরিক বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই এই দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বিশ্বের অন্যতম দরিদ🎶্র দেশের তালিতায় স্থান করে নিয়েছে সুদান। তবে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার ফেরানোর লক্ষ্যে আলোচনা চলছিল। সেই আলোচনার অংশ হিসেবেই সেনার সঙ্গে মিশে যেতে চলেছিল আধাসামরিক বাহিনীর র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স। তবে সেই সংযুক্তিকরণে না খুশ আধাসামরিক বাহিনীর কমান্ডার মহম্মদ হামদান দাগলো। এই পরিস্থিতিতে সুদানে অবস্থিত প্রায় সকল দেশের দূতাবাসই তাদের নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে এবং বাইরে বেরোতে বারণ করেছে। এই আবহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেন এবং রাষ্ট্রসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস অবিলম্বে এই সংঘর্ষ বন🐼্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।