ভিডিয়ো লিংক মারফৎ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার সুপ্রিম প্র🍃স্তাবে রাজি হলেন না মধ্য প্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ নর্মদা প্রসাদ প্রজাপতি।
বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের তরফে তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তার বেঞ্চকে বলেন, ‘সরকার গরিষ্ঠতা হারিয়েছে কি না, তা রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। রাজ্যপালের এই পরিস্থিতিতে তিনটি ক্ষমতা রয়েছে, বিধান সভা গঠনের জন্য আহ্বান জানানো, বিধান সভার অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা 🙈এবং বিধান সভা ভেঙে দেওয়া। কিন্তু অধ্যক্ষকে কী করা উচিত, তা বলতে পারেন না রাজ্যপাল। এ তাঁর ক্ষমতার বাইরে।’
জবাবে সুপ্রি𓆉ম কোর্টের বেঞ্চ জানায়, যদি অধিবেশন না চলাকালীন সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়, সে ক্ষেত্রে রাজ্যপাল বিধান সভাকে আহ্বান জানাতে পারেন।
এর প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল লালজি ট্যান্ডনের তরফে আইনজীবী আদালতকে জানান, মধ্য প্রদেশের এ হেন পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে বসে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ। তাঁর বদলে আদালতে রাজনৈতিক লড়াই ল💃ড়ছেন বিধান সভার অধ্যক্ষ।
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ অধ্যক্ষের কাছে জানতে চায়, বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফার বিষয়ে কোনও তদন্ত হয়েছিল কি না এবং তার জেরে তাঁদের সম্পর্কে অধ্যক্ষ ক﷽ী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তার জবাবে সিংভি জানান, যদি আদালত অধ্যক্ষকে সময় নির্ধারিত নির্দেশ দিতে শুরু করে, তাহলে তা সাংবিধানিক সমস্যা সৃষ্টি করবে🉐।
তাতে বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, বিধায়করা স্বতঃপ্রণোদিত ইস্তফা দিয়েღছেন কি না, তা যাচাই পরতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে পারে আদালত। তাঁর মধ্যস্থতায় পদত্যাগী বিধায়কদের সঙ্গে অধ্যক্ষের ভিডিয়ো লিঙ্কের মাধ্যমে আলোচনার প্রস্তাবও দেয় 🔯আদালত। কিন্তু তা নাকচ করে দেন অধ্যক্ষ।
এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ১৬ জন বিদ্রোহী বিধায়কের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে অধ্যক্ষকে প্রস্তাবিত দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া যাবে না, কারণ সেই সময় বিধায়ক কেনাবেচার সম🔴্ভাবনা থেকে যাবে।