সুপ্রিম কোর্ট মহম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি এফআইআরে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, গ্রেফতারের ক্ষমতার প্রয়োগ অবশ্যই সং🌳যতভাবে করতে হবে। জুবায়েরকে আর হেফাজতে রাখার কোনও যৌক্তিকতা নেই।
এদিকে মহম্মদ জুবায়েরের বিরুদ্ধে মামলাগুলির তদন্তের জন্য উত্তরপ্রদেশ পুলিশের গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলকে ভেঙে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। জুবায়েরের বিরুদ্ধে সমস্ত এফআইআর একত্রিত করে এর তদন্তভার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের কাছে হস্তান্তর করে শীর্ষ আদা꧋লত। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে জুবায়েরের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে টুইট সংক্রান্ত কোনও মামলা দায়ের হলে তাতেও জামিন পাবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের একটি টুইটের প্রেক্ষিতে এই সাংবাদিককে পুলিশ গ্রেফতার করে গত সোমবার। জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের টুইটে জুবায়ের লিখেছিলেন, ‘২০১৪ সালের আগে: হানিমুন হোটেল, ২০১৪ সালের পর হনুমান হোটেল।’ এই টুইটের প্রেক্ষিতে জু🤡বায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় বিভিন্ন জায়গায়। অভিযোগ, হনুমানজি যেহেতু ব্রহ্মচারী, তাঁর সঙ্গে হানিমুন যুক্ত করে হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) এবং ২০১ (প্রমাণ লোপাট) ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ফরেন কনট্রিবিউশন রেগুলেশন অ্যাক্টের অধীনেও মামলা হয়েছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তাছাড়া জুবায়েরের বিরুদ্ধে ১৫৩-এ (ধর্ম, বর্ণ, জন্মস্থান, ভাষা ইত্যাদির ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা) এবং ২৯৫-এ (ধর্মীয় অনুভূতিতে 🔴আঘাত করার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃত কাজ) ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।