রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের আকাশ, বাতাস বিষিয়ে দিচ্ছে দূষণ। আর তার অন্যতম প🍨্রধান কারণ হল - কৃষকদের ফসল꧒ পোড়ানোর বহু দিনের পুরোনো অভ্যাস। অথচ, সব জেনেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কেন্দ্রের এ♔মন ভূমিকায় তিতিবিরক্ত শীর্ষ আদালত। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে রীতিমতো তুলোধনা করে সুপ্রিম কোর্ট। বলে, পরিবেশ রক্ষা আইন 'দন্তহীন' হয়ে পড়েছে।
একইসঙ্গে, সংশ্লিষ্ট পঞ্জাব ও হরিয়ানা সরকারকেও কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছে শীর্ষ আদালত। যাঁরা নিয়ম ও আইন অমান্য করে লাগাতার ফসলের শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা খড় পোড়াচ্ছেন, স্থানীয়♛ রাজ্য সরকারগুলি কেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করছে না, সেই প্রশ্ন তুলেছে কোর্ট।
দুই🍒 রাজ্য সরকারকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনা করে আদালতের প্রশ্ন, তারা কি আদৌ চায়, পরিবেশ রক্ষা পাক? তারা কি আদৌ আইনের শাসন কায়েম করতে চায়? কারণ, তারা যদি🅠 সত্যিই তেমনটা চাইত, তাহলে অন্তত একজনকে আইন ভাঙার অপরাধে কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করাত।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস ওকা, বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহে♔র বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য ওঠে। গোটা ঘটনায় তিন বিচারপতিই গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
পরিবেশ আ🌜ইন ভঙ্গ করে ফসল পোড়ানোর জন্য যে ১,০৮০টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ টেনে পঞ্জাবের মুখ্যসচিবের উদ্দেশে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাঁরা। আদালত বলে, অপরাধের শাস্তি হিসাবে মাত্র ৪৭৩ জনের কাছ থেকে ন্যূনতম জরিমানা আদায় করা হয়েছে। যার অর্থ হল, ৬০০ 🍎জনেরও বেশি আইনভঙ্গকারীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি!
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, প্রশাসনের এই উদাসীনতার জন্যই অপরাধীদের সাহস বাড়ছে। তারা ধরেই নিয়েছে, অপরাধ করলেও কোনও শাস্তি হবে না। গত তিনবছর ধরে 🅠এই ঘটনা ঘটে চলেছে।
এই মামলায় হরিয়ানার মুখ্যসচিব যে হলফনামা জমা করেছেন, তাও এদিন আদালত পর্যালোচনা করে দেখে। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। বেঞ্চের তরফে সরাসরি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায় বায়ু দূষণﷺ কমানোর জন্য ফসল পোড়ানোর প্রথা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে রাজ্য সরকার? এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে?
হরিয়ানার মুখ্যসচিব আদালতে পূর্ণ তথ্য জমা করেন। তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে ৫,১২৩ জন নোডাল 🌼অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। এবং এমন বেআইনি ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে একটি মনিটারিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এর পালটা আদ🌄ালতের প্রশ্ন ছিল, এত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও কীভাবে মাত্র ৩২টি এফআইআর দায়ের করা হল? যেখানে ফসল পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে প্রায় ৪০০টি!