রেজাউল লস্কর
নয়াদিল্লিকে অবাক করে দিয়ে কূটনৈতিক সম্পর্ক ♔বজায় রাখতে ভারতকে আর্জি জানাল তালিবান। তালিবানের তরফে ভারতকে এই প্রস্তাব দেন তালিবান নেতা শের মহম্মদ আব্বাস স্ট্যানিকজাই। উল্লেখ্য, স্ট্যানিকজাইকে এর আগে ভারত বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা হত। দোহায় তালিবানের রাজনৈতিক আলোচনাকারী দলের দ্বিতীয় মুখ্য ব্যক্তি ছিলেন স্ট্যানিকজাই। সার্বিক ভাবে তালিবানি সংগঠনে তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলেন স্ট্যানিকজাই।
উল্লেখ্য, দুই দিন আগেই তালিবানের দখলে চলে যাওয়া কাবুল থেকে ২০০ ভারতীয়কে দেশে ফেরায় দিল্লি। এর থেকে স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে আপাতত কোনও রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক তালিবানের সঙ্গে রাখতে ইচ্ছুক নয় ভারত। যদিও ত🦩ালিবানি মুখপাত্রকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে ভারত চাইলে আফগানিস্তানে তাদের 𒁃প্রকল্পগুলির কাজ শেষ করতে পারে। ভারতের প্রকল্পের প্রশংসাও শোনা যায় তালিবানের গলায়। তবে এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সীামন্ত বন্ধ করে দেয় তালিবান।
এরই মাঝে তালিবানের তরফে স্ট্যানিকজাই দাবি করলেন যে ভারতের কূটনীতিকরা কাবুলে থাকলে নিরাপদেই থাকবেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন যে কাবুলে লস্কর বা জইশ জঙ্গিদের উপস্থিতি নেই। কাবুলের রাস্তা♕ থেকে শুরু করে বিমানবন্দর, সবকিছুর নিরাপত্তার দায়িত্বে তালিবান রয়েছে।
তবে ভারতের বক্তব্য, তালিবানের এহেন আবেদন ভুয়ো হতে পারে। শুধু মুখের কথায় নয়াদিল্লি এই আবে🐎দনের 'আন্তরিকতা' বিশ্বাস করবে না। আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সে দেশে বড় মাত্র♒ায় বিনিয়োগ রয়েছে দিল্লির। সেদেশে প্রায় প্রায় ৪০০টি প্রকল্পে ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারত। তালিবানি দখলে যাওয়ার আগে আফগানিস্তান থেকে ২০২১ সালেই ৮৩৫ মিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। কাবুলে চিনি, ওষুধ, চা, কফি, মশলা ও ট্রান্সমিশন টাওয়ার রফতানি করে ভারত। আমদানি করা হয় মূলত ড্রাই ফ্রুটস।