টিসিএসের ৬জন কর্মচারীর চাকরি গেল। কার্যত তাদের বের করে দিল কোম্পানি। শাস্তিমূলক পদক্ষেপ। ঘুষ কাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোরতম পদক্ষেপ। 🌟নিয়োগ সংক্রান্ত ঘুষকাণ্ডের অভিযোগে টিসিএসের সহযোগী ৬টি ব্যবসায়ীক সহযোগী সংস্থাকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
২৯ জুন বৃহস্পতিবার টিসিএসের 𓆏বার্ষিক সাধারণ সভা হয়েছিল। সেখানে শেয়ার হোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই জানিয়েছেন চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন। মানি কন্ট্𒉰রোলের প্রতিবেদন অনুসারে এমনটাই জানা গিয়েছে। এদিকে এই প্রথম গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি টিসিএস কর্তারা। তবে এবার একেবারে সরাসরি মুখ খুললেন টিসিএস কর্তা।
শেয়ার হোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি জানিয়েছেন, আমরা জানতে পেরেছি ৬জন কর্মী নীতিগতভাবে নিয়ম মানেননি। তবে এর জন্য় তারা কত পেয়েছিলেন তা জানা নেই। কিন্তু নিশ্চিত🅰ভাবে তারা এমন ব্যবহার করছিলেন যাতে বোঝা যাচ্ছিল তারা নির্দিষ্ট কয়েকটি ফার্মকে ফেভার করার চেষ্টা করছিলেন। আমরা সেই ৬জন কর্মী ও ৬জন সেই বিজনেস সহযোগী কোম্পানিকে ব্যান করেছি। আরও তিনজন কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত এখনও বাকি রয়েছে।
এদিকে টিসিএসের মতো সংস্থাতে এভাবে নিয়োগ কেলেঙ্কারিকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে টিসিএস। দ্রুত তদন্ত শুরু হয়। এরপর অন্তত ৬জন কর্মীর বির🀅ুদ্ধে ব্যবস্থা। সেই সঙ্গেই যে সমস্ত সংস্থা ওই টিসিএসের সঙ্গে কাজ করছিল তাদের সঙ্গেও কার্যত সম্পর্ক ছিন্ন করছে টিসিএস।
চন্দ্রশেখরন জানিয়েছেন, টাটা গ্রুপের কোনও কোম📖্পানির কাছে নীতির বিষয়টি অগ্রাধিকার পায়। কোনও কর্মী যদি এই নীতি লঙ্ঘনকারী কোনও কাজ করেন, তবে এটা সংস্থার সমস্ত নেতৃত্বকে যন্ত্রণা দেয়। আমরা এই অনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেব। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, নিয়োগের ক্ষে♔ত্রে কোথাও অনিয়ম হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল। এরপরই এনিয়ে তদন্ত শুরু করে সংস্থা। কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নেয় টিসিএস। আর সেই কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে বলে খবর। ঘুষ নিয়ে কর্মী নিয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার জেরেই কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা।
ফের টাটা বুঝিয়ে দিল নীতিগত ক্ষেত্রে কতটা জিরো টলারেন্স নীতিকে বাস্তবে প্রয়োগ করে টিসিএস। সেটাই বাস্তবের জমিতে করে দেখ🐽াল টিসিএস।