স্পষ্ট হাতের লেখা অনুসরণ করতে হবে সকল চিকিৎসককেই। সমস্ত মেডিকেল প্রেসক্রিপশন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কিংবা মেডিকো আইনের নথিগুলি সুস্পষ্ট হস্তাক্ষরে ইংরেজি বড় হরফে লিখতে হবে চিকিৎসক কিংবা চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার হাইকোর্ট এমনই নির্দেশ দিল ওড়িশা সরকারকে। সাপের কামড়ে বড় ছেলে সৌভাগ্য রঞ্জন ভোইয়ের মৃত্যুর পর ওড়িশার হিন্দলের রাসানন্দ ভোইয়ে আদালতে একটি আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি শেষেই ওড়িশা হাইকোর্ট এই সিদ্ধা🌳ন্ত জানাল। নির্দেশে বলা হয়েছে প্রেসক্রিপশন লেখার সময় স্পষ্ট হাতের লেখা অনুসরণ করতে হবে, যাতে ওষুধের নাম স্পষ্ট ভাবে পড়া যায়।
এ প্রসঙ্গে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘অনেক ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট লেখার সময় বেশিরভাগ চিকিৎসকের দৈনন্দিন পদ্ধতির কারণে মেডিকো আইনি নথিগুলিকে খারাপ ভাবে প্রভাবিত করছে এবং বিচারব্যবস্থা সেই চিঠিগুলি পড়া এবং একটি নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা কঠিন বলে♔ মনে করছে।’ এ প্রসঙ্গে আদাল🐎ত জানিয়ে যে জিগ-জ্যাক হস্তাক্ষর অনুসরণ করা চিকিৎসকদের মধ্যে একটি আদর্শ হয়ে উঠেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ কিংবা বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিবর্গের পক্ষে সেই নথি পড়া অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা জনক হয়ে উঠছে। এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতেই ওড়িশা হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ এবং আদেশ। সরকারের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ জারি করে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগ এবং জনসাধারণের বোঝার সুবিধার জন্য আরও স্পষ্ট করে লিখতে হবে প্রেসক্রিপশন কিংবা অন্যান্য চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি।
এই বিষয়ে বিভিন্ন মেডিকেল সেন্টার, বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা মেডিকেল কলেজগুলিতে জোরদার প্রচার অভিযানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত তিন বছর আগে ২০২০ সালে ওড়িশা হাইকোর্ট এই ধরনের আরও 💟একটি নির্দেশ দিয়েছিলেন। বিচারপতি সেই সময় বলেছিলেন, একটি মেඣডিকেল প্রেসক্রিপশন-এর অস্পষ্ট হস্তাক্ষরে লিখলে চলবে না। একজন বন্দীর অসুস্থ স্ত্রীর যত্ন নেওয়ার জন্য এক মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে জমা দেওয়া প্রেসক্রিপশনটি পড়তে চিকিৎসকের পক্ষে অসুবিধা হওয়ার পরে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন দেখার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ছেড়ে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা সকলের পড়বার মতো করে প্রেসক্রিপশন লেখায় মনোযোগী হন কিনা।