স্পিকার নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে এবার কার্যত কংগ্রেস আর তৃ🐬ণমূলের মধ্য়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে বলে খবর। কার্যত উভয়ের সুর মিলল না। স্পিকার নির্বাচনে ভোটাভুটি না হওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল এমপি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
কী বললেন অভিষেক?
লোকসভার অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সংসদের প্রথা অনুসারে যদি কোনও সদস্য ডিভিশন চান সেক্ষেত্রে প্রোটেম স্পিকার ভোটাভুটির জন্য় অনুমতি দেন। তিনি বলেন, আপনারা সংসদের ফুটেজ দেখলেই বুঝতে পারবেন বহু বিরোধী সাংসদ এদিন ডিভিশন চেয়ে ভোটাভুটির আর্জি জানান। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটাভুটি ছাড়াই স্পিকার বেছে নেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেই সঙ্গেই অভিষেক বলেন, বিজেপির কাছে প♊র্যাপ্ত সাংসদ নেই। তা সত্ত্বেও তারা সরকার চালাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। অনৈতিক ও অসাংব🅘িধানিক।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে কেন ডিভিশন চাওয়া সত্ত্বেও তা করা হল না? বেলা ১১টা নাগাদ সংসদে স্পিকার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওম বিড়লাকে স্পিকার নির্বাচিত করার প্রস্তাব পেশ করেন প্⛄রধানমন্ত্রী। সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে কে সুরেশকে স্পিকার করার জন্য প্রস্তাব পেশ করেন শিবসেনার উদ্ধবপন্থী সাংসদ। তবে ধ্বনিভোটে বিরোধী প্রার্থী পর🐎াজিত হন।
তবে ওম বিড়লাকে স্পিকার হিসাবে মেনে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাহুল গান্ধী শুভেচ্ছা জানান তাঁকে। রাহুল বলেন, আমি আপনার সফল নির্বাচনের জন্য় আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই সংসদ ভারতের জনগণেꦅর কণ্ঠস্বর। আপনি সেই কণ্ঠের চূড়ান্ত বিচারক। সংসদ কতটা ভালোভাবে চলল তার থেকেও বড় প্রশ্ন হল সংসদে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর কতটা শোনা গেল।
এদিকে সাধারণত ধ্বনি ভোটই প্রচলিত ভারতের সংসদে। কোনও সিদ্ধান্তের পক▨্ষে যারা থাকেন তারা বলেন ইয়েস ꩲআর বিপক্ষে যারা তারা বলেন নো। আর প্রতিটি ভোট যখন রেকর্ড করানো হয় তখন তাকে বলে ডিভিশন।
কী বলল কংগ্রেস?
এদিকে অভিষেক ডিভিশনের কথা বললেও কংগ্রেস এমপি জয়রাম রমেশের গলায় অন্য সুর। তিনি সংবাদমাধ্য়মে বলেন, আমি আপনাদের বলছি আমরা ভোটের ডিভিশনের কথা বলিনি। কারণ আমরা এটাই যথাযথ ভেবেছিলাম যে প্রথম দিন অন্তত একটা সহমত থাকুক। এটা আমাদের দিক থেকে এক🍃টা ইতিবাচক ও গঠনমূলক দিক ছিল। আমরা ডিভিশন ๊চাইতেই পারতাম। কিন্তু আমরা তা চাইনি।
আর অভিষেক বলেন, একজন সাংসদও যদি ডিভিশন চান তবে সেটা গ্রহণ করতে হয়। এদিকে বিরোধীদে✤র একাধিক এমপি ডিভিশন চেয়েছিলেন, কিন্তু সেটা করা হল না।