আজ, বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসাবে অসমে পা রেখেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিজেপিকে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ বলে অভিযোগ তꦫু🔯লে নিশানা করলেন কংগ্রেসকে। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস কোনও দিন বিজেপির কাছে মাথানত করবে না। কংগ্রেস মাথানত করেছে বলেই অসমে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে এবং ৬ বছর ধরে রাজ করছে। বিজেপিকে ধাক্কা দিতে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১৪ আসনের মধ্যে ১০ আসন তৃণমূল কংগ্রেসকে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন অসমবাসীর কাছে।
ঠিক কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? এদিন প্রথমে কামাক্ষ্যাদেবীর মন্দিরে পুজো দেন তিনি। তারপর গুয়াহাটিতে পার্টির নেতা–কর্মীর সামনে ভাষণ দেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘এতদিনে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, ধমকে চমকে তৃণমূল কংগ্রেসকে শায়েস্তা করা যাবে না। দিল্লি থেকে বিজেপির নেতারা এলে এঁরা পায়ে প🌌ড়ে যায়। ওঁরা কোনও বড় ব্যাপার নয়। সবাই সমান। ফুলিয়ে–ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে। সুস্মিতা কেন কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন? কারণ কংগ্রেসে থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার সুযোগ নেই। বিজেপিকে গদিচ্যুত করা কোনও বিরাট কাণ্ড নয়। আসলে ওরা শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি।’
এখানে কী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসবেন? নেতা–কর্মীদের এই প্রশ্ন অনেকদিনের। সেটা বুঝতে পেরে এদিন অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিছুদিনের মধ্যে অসমে আসবেন। বাংলায় কন্যাশ্রী হতে পারলে অসমে কেন হবে না? পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কেন অসমের মহিলারা তা পাবেন 🌼না?’
আগামী বছর মেঘালয়–ত্রিপুরায় বিধানসভার নির্বাচন। মেঘালয়ে এখন তৃণমূল কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী দল। এই বিষয়ে অভিষেক বলেন, ‘নির্বাচনের অঙ্কে 🌱ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেস এখন দ্বিতীয় স্থানে আছে। ওই দুই রাজ্যে আগামী বছর সরকার গড়ার সংকল্প নিতে হবে। অসমের ১০টি লোকসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেসের চাই। কাজটা মোটেই কঠিন নয়। বিজেপিকে জব্দ করা সম্ভব।’