ত্রিপুরায় তৃণমূলের যুব নেতাদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছিল শনিবার। এরপর রবিবার সেই যুবনেতা🦂দেরই গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় ত্রিপুরায় পৌঁছে যান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর আজ এই গোটা ঘটনাক্রমের প্রতিবাদে সংসদে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা দেন তৃণমূল সাংসদরা। এদিন ডেরেক ও'ব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মৌসম বেনজির নূর, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, শতাব্দী রায়, অপরূপা পোদ্দার সহ তৃণমূলের আরও বেশ কয়েকজন সাংসদ। তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল যাতে লেখা, 'ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাতে🥂 হবে', 'ত্রিপুরায় স্বৈরাতন্ত্র নিপাত যাক'। পাশাপাশি চলে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের বিরুদ্ধে স্লোগান।
এদিকে কাল মাঝ রাতে কলকাতায় ফেরার পর দেবাংশু, জয়া, সুদীপদের নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। উডবার্ন 𝐆ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবཧিনে ভর্তি রয়েছেন সুদীপ। তাঁর মাথায় চোট কতটা গুরুতর তা পরীক্ষা করতে সিটি স্ক্যান করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে ২০৩ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন জয়া। তাঁর গালে চোট রয়েছে। আজকে সুদীপ ও জয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং।
এদিন এসএসকেএম-এ জখম যুবনেতাদের সঙ্গে দেখা করে স দেখে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় অমিত শাহকে🏅 কাঠগড়ায় তুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, 'কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অমিত শাহের নির্দেশে সবটাই হয়েছে। এটা আমি বিশ্বাস করি। তা না হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এত সাহস হত না।'
এর আগে রবিবার যুব নেতাদের ছাড়িয়ে আনতে সকালেই আগরতলা পৌঁছেই খোয়াই থানায় যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধৃত তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে জামিনে মুক্তির দাবিতে খোয়াই থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসু ও দোলা সেন। থানাতেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরা পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভি꧑যোগ আনে তৃণমূল। জামিন অযোগ্য ধারা না-সরানো পর্যন্ত তাঁরা🍬 থানা থেকে নড়বেন না বলে জানিয়ে দিলে ব়্যাফ ডেকে ধৃতদের থানা থেকে বের করে আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর শেষ পর্যন্ত যুবনেতারা জামিনে মুক্তি পেলে তাঁদের বিশেষ বিমানে করে কলকাতায় ফেরান অভিষেক।