বাংলাদেশে গত বুধবার থেকে বিভিন্ন দুর্গা পুজো মণ্ডপে তাণ্ডব চালিয়েছে ইসলামপন্থী কট্টরবাদীরা। মণ্ডপে মণ্ডপে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি হামলা চালানো হয় হিন্দুদের উপরও। এই ঘটনাগুলিতে যুক্ত বহু মানুষকে গ্রেফতার করতে শুরু করেছে সেদেশের প🦹ুলিশ। এখনও পর্যন্ত পুলিশের জালে এসেছে শতাধিক। এবার চট্টগ্রামের পুজো মণ্ডপে হামলা চালানোর ঘটনাতেও গ্রেফতার করা হল আরও ১০ জনকে। জানা গিয়েছে ধৃতরা যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য।
বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যুব–ছাত্র অধিকার পরিষদের ১০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় দায়ের মামলার প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত মোট ১০০ জনকে🌌 গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ওপার-বাংলায় সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার রোখার বিষয়ে প্রথম থেকেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই দেশজুড়ে শুরু হয়ে দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করার পালা।
গত বুধবার অষ্টমীর দিন থেকে বাংলাদেশে তীব্র হিংসা ছড়াতে শুরু করেছে। অভিযোগ, ওই দেশের কুমিল্লার একটি পুজো মণ্ডপে ভাঙচুরের পর থেকেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এরপর বহু প🎶ুজো মণ্ডপ, মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। বিভিন্ন এলাকায় ৬৬টি হিন্দু বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় অন্তত ২০টি বাড়ি। বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। নোয়াখালির একটি ইসকন মন্দিরেও হামলা চালানো হয়। এই হিংসার ঘটনায় দেশজুড়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়।