এক বছর আগেই মামলার ভারে জর্জরিত পড়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এখন সেসব মামলা তো নেইই, বরং তাঁর সম্পদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু মার্কিন মসনদে ⭕পালাবদল হতেই শিকে ছিঁড়ল তাঁর কপালে। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতেই দ্বিগুণ বাড়ল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পত্তি। এমনকি তিনি জায়গা করে নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ারদের তালিকায়।
আরও পড়ুন-Bijnor:পরকীয়া সন্দেহ, আবর্জনার স্ত💯ূপে স্ত্রীর কঙ্কাল! এক বছর পর গ্রেফতার স্বা🀅মী ও ভাই
সম্প্রতি চলতি বছরের বিশ্বের শীর্ষ বিলিয়নিয়ারদের তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস।আর নতুন তালিকায় ট্রাম্পের স্থান ৭০০ নম্বরে। সেই সঙ্গেই পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানানো হয়েছে, ২.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে গত এক বছরে ট্রাম্পের মোট সম্পদের পরিমাণ বেড়ে হয়ে🧔ছে ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ ট্রাম্পের সম্পদ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা থেকেই প্রতিপত্তি ট্রাম্পের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হয়েছে তাঁকে। বাডতে থাকা সুদের হার, অনলাইন শপিং ও অফিস স্পেসের সঙ্কোচনের মতো নানা ফ্যাক্টর এক্ষেত্রে বড় হয়ে উঠেছে। ফলে গলফ কোর্স, বিলাসবহুল সম্পত্তি, মদের কারখানা ও বোয়িং ৭৫৭ তথা 'ট্রাম্প ফোর্স ওয়ান'-এর মালিকানা সত্ত্বেও আর্থিক চা🎶পের মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার উপর নিউ ইয়র্কের আদালতে পড়তে হয়েছে বড়সড় জরিমানার মুখে। ৪৫৪ মিলিয়ন ডলারের জরিমানার পাশাপাশি তাঁর ৪০ ওয়াল স্ট্রিটের বিল্ডিংটিও বাজেয়াপ্ত করতে চেয়েছিল আদালত।
একটা সময় এমন মনে হয়েছিল যে, ট্রাম্প হয়তো দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে ঠিক এক বছর আগে যখন তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪১ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। এমনকি তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ইতি দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু ট্রাম্প থেকে যাননি, বরং খুব দ্রুতই ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। এই সাফল্যের নেপথ্যে রয়ে♛ছে তাঁর লিগ্যাল টিম। আর পাকা ব্যবসায়ী হওয়ায় ট্রাম্প ভালোভাবেই জানতেন, কীভাবে এমন অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। একের পর এক কৌশল প্রয়োগ করতে থাকেন তিনি।তাই প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ট্রাম্পের সম্পদ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া:
ট্রাম্প প্𒅌রথমেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করেন ব্যবসায়িক চিন্তা থেকে। চালু করেন নিজস্ব ট্রুথ সোশ্যাল। এতে কিছুটা ক্ষতি হলেও সমর্থকেরা একত্র হতে একটা বিশেষ প্ল্যাটফর্ম পান, যা পরে স্টক মার্কেটকেও চাঙা করে দেয়। উল্লেখযোগ্য ক্ষতির মুখে পড়েও মার্চের শেষে সংস্থার ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের শেয়ার ছিল ট্রাম্পের।
ক্রিপ্টোকারেন্সি:
গত বছর অক্টোবরে ট্রাম্প লঞ্চ করেন এক ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রোজেক্ট। 'ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফিনান্সিয়াল' নামের সেই প্রকল্পের লক্ষ্যই ছিল নতুন বিনিয়োগকারী। ফোর্বস বলছে, ট্রাম্প💞কে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে গেছে ক্রিপ্টোকারেন্সি। প্রাথমিক ভাবে⛎ তেমন সাড়া না পাওয়া গেলেও ট্রাম্প নির্বাচনে জিততেই ছবিটা বদলে যায়। এতে করে অনেক বিনিয়োগকারী পান তিনি। আর অভিনব এই উদ্যোগই তাঁকে বিদেশ সুবিধা করে দিয়েছিল নির্বাচনের ময়দানে। এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প।
ডিজিটাল টোকেন:
ট্রাম্প নিজের নামে হ্যাশট্যাগ চালু করে ডিজিটাল টোকেন বওাজারে নিয়ে আসেন। যার ফলে বিনিয়োগকারীরাও সাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম পান। তাঁর ট্রাম্পের শেয়ারের দাম বাড়তে থাকে হু হু করে।আর তাতেই বিপুল লাভের মুখ দেখ🃏েন তিনি।
এবার ফোর্বস যে ৩ হাজার ২৮ জন বিলিয়নিয়ারের তালিকা প্রকাশ করেছে, তাঁদের মোট সম্পদ ১৬ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি। তবে ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইলন মাস্কের চেয়ে সম্পদের দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ৩ হাজারের বেশি বিলিয়নিয়ারের তালিকায় শীর্ষে থাকা ইলন মাস্কের সম্পদ বর্তমানে ৩৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। উল্লেখ্য, ১৯৮২ সালে প্রথমবার ফোর্বসের ধনী তালিকায় নিজের নাম তুলতে পেরেছিলেন ট্রাম্প। সেই সময় তাঁর 🤡সঙ্গেই এক আসনে ছিলেন বাবা ফ্রেড ট্রাম্প। তাঁদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০০ মিলিয়ন ডলার।