'পাই'-র নয়া ফর্মুলা আবিষ্কার করলেন দুই বাঙালি পদার্থবিদ। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের (আইআইএসসি) অর্ণব সাহা এবং অনিন্দ্য সিনহা যে আবিষ্কার করেছেন, তাতে জটিল ক্যালকুলেশন থেকে তুলনামূলকভাবে সহজেই 'পাই'-র মান বের করা যাবে। অনিন্দ্যবাবু হলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের 'সেন্টার ফর হাই এনার্জি ফিজিক্স'-র অধ্যাপক। আর অর্ণববাবু হলেন পোস্ট-গ্র্যাজুয়েট। বিজ্ঞানীদের মতে, দুই পদার্থবিদ যে আবিষ্কার করেছেন, তা আপাতত পুঁথিগত হলেও ভবিষ্যতে খাতায়কলমেও প্রয়োগ করা যেতে পারে। এখনই হয়তো দৈনন্দিন জীবনে সেটার কোনও প্রভাব দেখা যাবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে সেটা এমন কোনও দিগন্তের উন্🐎মোচন করতে পারে, 🐎যেটা ছাড়া হয়ত জীবন অচল হয়ে যেতে পারে।
অন্য বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছিল গবেষণা
যদিও প্রাথমিকভাবে পাইয়ের নয়া ফর্মুলা খোঁজার জন্য গবেষণা শুরু করেননি দুই পদার্থবিদ। কোয়ান্টাম থিওরিতে কণা পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা শুরু করেছিলেন। কীভাবে বিভিন্ন কণার মধ্যে যোগসূত্র গড়ে ওঠে, সেটা বোঝার জন্য আরও নিখুঁত মডেল তৈরি করতে চাইছিলেন তাঁরা। আর অনেক সময় গবেষণার ক্ষেত্রে যেরকম হয়ে থাকে, ঠিক সেটাই হয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের দুই বাঙালি পদার্থবিদের ক্ষেত্রে। তা🐻ঁরা নয়া একটি দিগন্তের সন্ধান পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাথার মধ্যেই নাকি একটা ক💎ম্পাস আছে! গবেষণায় ধরা পড়ল অদ্ভ🌃ুত এক তথ্য
অনিন্দ্যবাবু বলেন, ‘পাইকে কীভাবে তুলে ধরা যায়, সেটা খুঁজে বের করার জন্য আমরা প্রাথমিকভাবে গবেষণা করছিলাম না। আমরা নেহাতই কোয়ান্টাম থিওরিতে কণা পদার্থবিজ্ঞানের ভূমিকা নিয়ে গবেষণা শুরু ক𝓡রছিলাম। কীভাবে বিভিন্ন কণার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়, সেটা আরও কম এবং সঠিক মানদ𓄧ণ্ডের মাধ্যমে অনুধাবন করার জন্য মডেল তৈরি করার চেষ্টা করছিলাম। (তবে) যখন আমরা পাইকে নয়া দৃষ্টিভঙ্গিকে দেখার উপায় খুঁজে বের করি, তখন খুব ভালো লাগছিল।’
'পাই' হল খাবারের পদ, বাঙালি বিজ্ঞানীদের সিরিজ হল রেসিপি
'পাই'-কে ব্যাখ্যা করার যে নয়া সিরিজ খু✅ঁজে পেয়েছেন দুই বাঙালি পদার্থবিদ, সেটা আরও ব্যাখ্যা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে 'পাই' যদি খাবারের পদ হয়, তাহলে সিরিজটা হল রেসিপি। বিভিন্ন সংখ্যার কম্বিনেশন হিসেবে 'পাই'-কে উপস্থাপন করা যেতে পারে। আর 'পাই'-র একদম সঠিক মানের যতটা সম্ভব কাছাকাছি পৌঁছানোর জন্য দ্রুত উপযুক্ত সংখ্যা এবং কম্বিনেশন খুঁজে বের করার কাজটা যথেষ্ট কঠিন। দুই বাঙালি পদার্থবিদ যে সিরিজ আবিষ্কার করেছেন, তাতে দ্রুত 'পাই'-র মান বের করে নেওয়া যাবে। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ক্যালকুলেশনে ব্যবহার করা যাবে।
অনিন্দ্যবাবু জানিয়েছেন, তাঁরা যে আবিষ্কার করেছেন, সেটা আগে 🐎খুঁজে পাওয়া যায়নি, কারণ সঠিক পন্থা মেলেনি। গত তিন বছর ধরে তাঁরা যে গবেষণা চালিয়েছেন, সেটার মধ্যে দিয়েই সেই সঠিক পন্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। তাঁর কথায়, 'সত্তরের দশকের গোড়ার দিকে কিছুটা সময়ের জন্য এই ধাঁচে গবেষণার বিষয়টি খতিয়ে দেখেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু বিষয়টা বড্ড জটিল হওয়ায় সেটা দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।'
‘এরকম কাজ করে খুব তৃপ্তি পাওয়া যায়’
তবে অনিন্দ্যবাবু এটাও জানেন, তাঁরা যে নয়া দিগন্তের উন্মোচন করেছেন, বাস্তব জীবনে হয়তো এখনই সেটার কোনও প্রভাব পড়বে না। কিন্তু আগামিদিনে তাঁদের সেই আবিষ্কারই যে দুনিয়ার ভোল পালটে দিতে পারে, সেটাও জানেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের 'সেন্টার ফর হাই এনার্জি ফিজিক্স'-র অধ্যাপক। তিনি বলেছেন, 'দৈনন্দিন জীবনে হয়ত এখনই কোনও প্রভাব দেখা যাবে না। কিন্তু এরকম কাজ করে খুব তৃপ্ত♏ি পাওয়া যায়।'
আরও পড়ুন: Sunita Williams: মহাকাশে গিয়ে ‘বাগ’ বিপদে সুনিতা উইলিয়ামস! ফিরছে🐲ন পৃথিবীতে, ঠিক হয়ে গেল তারিখ