লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। যার ফলাফল এখন দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ২৯, বিজেপি ১২ এবং কংগ্রেস ১। এমনকী গোটা দেশে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। শরিক দলগুলিকে নিয়ে গড়ে উঠেছে এনডিএ সরকার। কিন্তু এই আবহেও সন্ত্রাসদমন আইনে মামলা করার অনুমতি দেওয়া হল অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে। এই লেখিকার বিরুদ্ধে অত🅘্যন্ত কড়া ইউএপিএ বা সন্ত্রাসদমন আইনে মামলা করার অনুমতি দিলেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্ণর ভিকে সাক্সেনা। প্রকাশ্যে বিতর্কিত বক্তব্য প্রদানের অভিযোগে ভারতের বিখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের ꦉবিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ১৩ বছর আগে কাশ্মীর ইস্যুতে ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য রাখার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এদিকে অরুন্ধতী রায় এবং কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয় নয়াদিল্লির মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশের পর। সেটাও🔯 ওই নির্দেশে যোগ করেছেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্ণর ভিকে সাক্সেনা। তবে এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি অরুন্ধতী রায় এবং শেখ শওকত হোসেনের পক্ষ থেকে। ওই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ১৫৩বি এবং ৫০৫ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ইউএপিএ’র ১৩ নম্বর ধারাতেও তাঁদের অভিযুক্ত করার আবেদন করেছিল দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটে ধারাতেই মামলা শুরুর অনুমতি আগেই দিয়েছিলেন দিল্লির লജেফটন্যান্ট গভর্ণর ভিকে সাক্সেনা। এবার ইউএপিএ ধারাতেও অরুন্ধতী রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘আপনাকে মানুষ ভোট দেয়✤নি, এটা মেনে নিতে হবে’, দিলীপকে কড়া ভাষায় নিশানা করলেন দিন্দা
অন্যদিকে কাশ্মীরের এক সামাজিক কর্মী সুশীল পণ্ডিতের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এই এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই এফআইআর হয় ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনা এবার অরুন্ধতী রায় এবং কাশ্মীর সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক আইনের প্রাক্তন অধ্যাপক ডঃ শেখ শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলায় বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ৪৫ (১) ধারার অধীনে বিচারের অনুমোদন দিয়েছেন। আজ, শুক্রবার📖 রাজ নিবাস থেকে সরকারি ভাবে জানানো হয়েছে। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে, বুকার পুরস্কার জয়ী লেখিকার কি বিপদ বাড়ল?
এছাড়া গত ১৩ বছর আগে ‘আজাদি দ্য ওনলি ওয়ে’ নামের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সময় অরুন্ধতী রায় কাশ্মীরকে ভারতের থেকে বিচ্ছিন্ন করার দাবি জানিয়ে ছিলেন বলেই অভিযোগ। ওই সভায় অরুন্ধতীর সঙ্গে আরও একাধিক জনের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১০ সালে দায়ের করা ওই মামলায় বি🏅দ্বেষ ছড়ানো, সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর কাজ করা, জাতীয় ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর বক্তব্য রাখার অভিযোগ করা হয়েছিল। দোষী সাব্যস্ত হলে ওই মামলায় অরুন্ধতী রায়ের সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপরই এফআইআর দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। সেই মামলাতেই এবার ইউএপিএ ধারা যোগ করার অনুমতি দিলেন দিল্লির লেফটন্যান্ট গভর্ণর ভিকে সা🦩ক্সেনা।